নোয়াখালীতে আ.লীগের দু-পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৯, পুলিশের গুলি
প্রকাশ | ০৭ মে ২০২৩, ২২:০১
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে বিদ্যালয় ভবনের উদ্বোধনের সময় আগে-পিছে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়েছে পুলিশ।
রবিবার বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহির উদ্দিন স্বপন রয়েছেন। অপর আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকালে জনতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুতলা নতুন ভবন উদ্বোধন করার জন্য বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম। ভবনের নেমপ্লেটের ফিতা কেটে উদ্বোধনের সময় সামনে দাঁড়ান সাংসদ এইচ এম ইব্রাহিম। এ সময় সাংসদের পাশে সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্রে করে উপস্থিত আওয়ামী লীগের দু-পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাক্কা ধাক্কি শুরু হয়। উদ্বোধনের পর পুনরায় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষ একে অপরকে মারধর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে সংঘর্ষকারীরা পুলিশ ও পুলিশের গাড়িতেও হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শর্টগানের গুলি ছুড়লে সংঘর্ষকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, এমপি সাহেবের নির্দেশে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অংগসংগঠনের সকল নেতাকর্মী অনুষ্ঠানস্থলে আসে। উদ্বোধনের সময় সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্রে করে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুল নেতাকর্মীদের ধাক্কাতে শুরু করেন। বিষয়টি নজরে আসলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তাকে এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লোকজন নিয়ে সভাপতির ওপর হামলা চালায় চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে আমরা সভাপতি সহ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে গিয়ে অবস্থান করলে পুনরায় ওখানে গিয়েও হামলা চালায় বাহালুল চেয়ারম্যান। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে তারা ওসি সহ পুলিশের ওপরও হামলা চালায়। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুল এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিক বার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১২ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। সংঘর্ষে আমাদের তিন পুলিশ কনেস্টবল আহত হয়েছে, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/৭মে/এআর)