চিলমারীতে দেয়াল টপকে পরীক্ষার্থীকে নকল সরবরাহ
প্রকাশ | ০৯ মে ২০২৩, ১৯:১৫
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নকল চলছে। পরীক্ষা কেন্দ্র এলাকার দেয়াল টপকে পরিক্ষার্থীদের কক্ষে পৌঁছানোর ঘটনা ঘটেছে। যদিও প্রশাসনের দাবি এবারের পরীক্ষা নকলমুক্ত। তবে বাস্তব চিত্র একেবারেই ভিন্ন। কেন্দ্র এলাকায় ভিড় করে নকলের কাগজপত্র নিয়ে ছোটাছুটি করছেন অভিভাবকসহ অনেকেই।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, চিলমারীতে তিনটি কেন্দ্রে চলমান এসএসসি ও দাখিল পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের আওতায় চিলমারীর থানাহাট এইউ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দুটি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় রাজারভিটা ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসায় চলমান এসএসসি ও দাখিল পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গতকয়েকদিনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় দেখা গেছে, চলমান পরীক্ষায় কেন্দ্রের আশপাশে বহিরাগত লোকজনের আনাগোনো লক্ষ্যণীয়। কেন্দ্র এরিয়ার ভিতরে দেয়াল টপকে ঢুকে নকল সাপ্লাই দিতেও দ্বিধা নেই তাদের। পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টা খানেক পর থেকে শুরু হয় নকল কক্ষে পৌঁছে দেয়ার প্রতিযোগিতা। এদিক-সেদিক থেকে বইয়ের পাতা বা সাদা কাগজে হাতে লিখে বাওন্ডারী ওয়াল ভেদ করে জানালা দিয়ে নকল পাঠাচ্ছেন শিক্ষাথীর অভিভাবকরা।
সরেজমিনে পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে গেলে চোখে পড়ে উঠতি বয়সের ছেলেরা কেন্দ্রের পাশে বসে বই থেকে লিখে নকল দেয়াল টপকে কেন্দ্রে ভেতর সরাসরি দিয়ে আসছে। শুরুর দিন থেকে এমন অবস্থা লক্ষণীয় ছিল। তারা কেন্দ্র গুলো কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং বিভিন্ন জায়গায় জটলা করেও থাকতে দেখা গেছে। পর্যাপ্ত প্রশাসনের লোকজন না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে ধারণা অনেকের।
থানাহাট ইউনিয়নের মমিনুল ইসলাম বাবু বলেন, কেন্দ্র এলাকায় পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। যে পরিবেশে পরীক্ষা হচ্ছে এতে বুঝা যাচ্ছে পড়ালেখার মান অনেক খারাপ অবস্থানে চলে গেছে। এখানে বহিরাগত ছেলেদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও নকল কক্ষে পৌঁছে দিতে ওঠে পড়ে লেগেছে। প্রশাসনেরে দায় সাড়া ভূমিকায় চলছে পরীক্ষা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন, গেলে কয়েকবারের তুলনায় এ বছর পরীক্ষায় নকল অনেক বেশি বেড়ে গেছে। আমরা যে সময় পরীক্ষা দিয়েছি সেসময় এত নকলের দৌরাত্ম ছিল না। এখন দেখছি পরীক্ষার্থীদের বাবা মা সরবরাহ করছে এটা সত্যিই দুঃখজনক।
চিলমারী মডেল থানার পুলিশ পরির্দশক (ওসি তদন্ত) মুশাহেদ খান জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ জন করে তিনটি কেন্দ্রে মোট ৯ জন পুলিশ সদস্যকে মোতায়ন করা হয়েছে। আমাদের দিক থেকে আমরা নজরদারি করে যাচ্ছি। এমন পরিবেশ তৈরি হলে প্রয়োজনে আরও পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার নকলমুক্ত পরীক্ষা হচ্ছে। আমরা প্রশাসন সর্বোচ অবস্থানে আছি। অসদুপায় অবলম্বন করার সুযোগ নেই। তবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কক্ষে নকল পৌছে দিচ্ছে এমন প্রশ্নে তেমন উত্তর দিতে পারেনি ইউএনও।
(ঢাকাটাইমস/৯মে/এআর)