২০৪১ সালের মধ্যে ক্যাশলেস স্মার্ট ইকোনমি গড়ে তুলবেন প্রধানমন্ত্রী: পলক

প্রকাশ | ১২ মে ২০২৩, ১৬:৩৫ | আপডেট: ১২ মে ২০২৩, ১৬:৪০

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের যে ভিশন রয়েছে তার চারটি স্তম্ভ শক্তিশালীভাবে তৈরি করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। চারটি স্তম্ভের মধ্যে আছে সাধারণ মানুষদের স্মার্ট নাগরিক করে গড়ে তোলা, যারা হবে বুদ্ধিদীপ্ত, উদ্ভাবনী, সমস্যার সমাধানকারী, স্মার্ট ইকোনমি অর্থ্যাৎ বিকাশ, নগদ, রকেট এই যে ক্যাশলেস ট্রানজিকশন হচ্ছে প্রান্তিক রিকসাচালকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ ক্যাশ টাকা লেনদেন না করে কিউ আর কোড আধুনিক ওয়ালেটের মাধ্যমে ব্যবহার করবে। এরফলে তাদের লেনদেনের রেকর্ডটা অনলাইনে থেকে যাবে। এই লেনেদেনের রেকর্ড থাকলে যেকোনো ব্যক্তি ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে ঝণ গ্রহণ করতে পারবে।’

শুক্রবার সকালে বাগেরহাট শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলার উদ্বোধক ছিলেন বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়।

তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে ক্যাশলেস স্মার্ট ইকোনমি গড়ে তুলবেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের সকল সরকার ব্যবস্থা হবে স্মার্ট। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদের কাছে কাউকে ফিজিক্যালি (স্বশরীর) যেতে হবে না, সবকিছু র্ভাচুয়ালি হবে। করোনাকালীন সময়ে আমরা সবকিছু র্ভাচুয়ালি করলাম। দেশের পনেরো কোটি মানুষ সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের নিবন্ধন করেছে। প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে সেসময়ে মানুষের টাকা সময় দুটোই বেঁচে গেছে। ইতোমধ্যে দুই হাজার সেবাকে ডিজিটালাইজড করেছি আরও তিন হাজার সেবাকে ডিজিটালাইজড করা হবে। যা হবে সম্পূর্ণ পেপারলেস (কাগজবিহীন)। ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে একটি আধুনিক প্রযুক্তি থাকলে তা দেশে বিদেশের যেকোনো জায়গায় বসে করা সম্ভব হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সরকারের সকল সেবাকে আরও কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ করে যাচ্ছি। স্মার্ট সিটিজেন অর্থ্যাৎ ধনী দরিদ্র সকল শ্রেণিপেশার মানুষ তথ্য প্রযুক্তির সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে সেই প্রত্যাশা এই সরকারের। এছাড়া দেশের ৬৪টি জেলায় একটি করে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।’

বাগেরহাট জেলায় সাড়ে তিন একর জমির উপর ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ তলা বিশিষ্ট শেখ কামাল প্রশিক্ষণ, ইনকিউবেশন সেন্টার খুব শিগগির নির্মাণ করার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

এখানে হাজার হাজার শিক্ষিত তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ শেষে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে। তারা সরকারি চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেই স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে বাগেরহাটের ৪০ জন উদ্যোক্তার প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক এবং ১০ জনকে একটি করে ল্যাপটপ তুলে দেন মন্ত্রী।

সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার শিক্ষিত তরুণ-তরুণী মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় করতে থাকে। তারা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে নাম নিবন্ধন করেন। এই মেলায় দেশের ৩৫টি আইটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তারা বাগেরহাটের শিক্ষত বেকার তরুণ-তরুণীদের চাকরি দিতে সিভি আহ্বান করে। অল্প সময়ের মধ্যে তিন হাজারের অধিক সিভি জমা দিয়েছে চাকরি প্রার্থীরা। এই সিভি পরে যাচাই বাছাই করে যোগ্যদের চাকরি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন, পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন।

(ঢাকাটাইমস/১২মে/এসএ)