কর্নফুলী টোল প্লাজায় অপহরণ; চট্টগ্রামে মামলার বাদী গোলাম আজাদ গ্রাম ছাড়া, আসামিদের সশস্ত্র মহড়া!

প্রকাশ | ১৩ মে ২০২৩, ২১:৪৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

গত ৭ মে ব্যবসায়ী গোলাম আজাদ বাড়ি ফেরার সময় চট্টগ্রাম কর্ণফুলী ব্রিজ টোলপ্লাজা থেকে অপহরণের শিকার হন। পরবর্তীতে পুলিশি তৎপরতা ও এলাকাবাসীর সহায়তায় উদ্ধার হন।

পরবর্তীতে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার স্বীকার ব্যবসায়ী গোলাম আজাদ গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) চট্রগ্রাম  জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট ৫ম আদালতে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত সি আর মামলা নং ২২৩/২৩ বলে মামলার প্রধান আসামী আমিন আহমেদ রোকন, আবু আহমেদ জুনুসহ সবার বিরুদ্ধে মামলা আমলে নেন এবং পি বি আইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার বর্ণনা এবং বাদীর আইনজীবীর সুত্রে জানা যায়, গত ৭ মে রাত নয়টার দিকে ব্যবসায়ী গোলাম আজাদ ব্যক্তিগত গাড়ী নিয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে চন্দনাইশের নিজ বাড়ীতে আসার পথে শাহ আমানত (কর্নফুলী নতুন ব্রীজ) এর টোল প্লাজা অতিক্রম করার সময় আমিন আহমেদ রোকন ও আবু আহমেদ জুনুর নেতৃত্বে কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী ফিল্মি কায়দায় ভিক্টিমের গাড়ী আটক করে হামলা করে মারধর করার পর গাড়িসহ জোর করে ধরে নিয়ে যায়।  বাদীকে অপহরণের পর চোখ বেধে জীবননাশের জন্য বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে আটকে রাখে। সেখানে নিয়ে তাকে বিভিন্ন হুমকি দেয়।

তবে মামলার পর থেকে বাদী ব্যবসায়ী গোলাম আজাদ নিজ বাড়িতে থাকতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী খালেদা খানম।

খালেদা খানম বলেন, আমার স্বামী গোলাম আজাদ মামলা করার পর থেকে আসামিরা বেপরোয়া হয়ে পড়েন। তারা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। আমার বাড়ির আশপাশে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাণভয়ে আমার স্বামী বাড়িতে থাকতে পারছেন না। এছাড়া আমি সবসময় ভয়ে থাকি। আমি আমার প্রতিবন্ধী একটি বাচ্চা নিয়ে খুবই আতংকে দিনপার করছি। আমি এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করছি।

এদিকে শুক্রবার (১২ মে) আসামীরা গোলাম আজাদ এবং তার পরিবারের পুরুষ সদস্যদেরকে আসামি করে চন্দনাইশ থানায় মামলা দায়ের করে।

উল্লেখ্য, ব্যবসায়ী গোলাম আজাদ চাঞ্চল্যকর শিশু রুনাকে ধর্ষনের পর পুড়িয়ে হত্যা মামলার একজন সাক্ষী।

(ঢাকাটাইমস/১৩মে/এমএইচ)