মা’র আশিসের শীতল-ছায়া
প্রকাশ | ১৪ মে ২০২৩, ১৮:২৫

কষ্টে আছি কষ্টে বাঁচি কষ্ট শুধু বই একেলা,
আমার কষ্ট শুধুই আমার জগত করে অবহেলা।
আমার ব্যথার মূল্য দেবার সেই দরদি থাকত যদি!
সোহাগবানে রুদ্ধ হতো সব যাতনার অশ্রু নদি।
কষ্ট নামের তীক্ষ্ণ কাঁটায় বিদ্ধ হয়ে ঝরাই যে খুন,
কষ্টকথা শোনার মানুষ নেই বলে তা বাড়ছে দ্বিগুণ।
কষ্ট হানে বুকের মাঝে, কষ্ট তবু পাথর চাপা,
সেই কাহিনি শুনবে কজন, খুঁজছে সবাই লাভ-মুনাফা।
চিত্তে জ্বলে চিতার আগুন বসন্তে বয় বৈরি হাওয়া,
মাতাল বাতাস মত্ত হয়ে ঝড়ের বেগে করছে ধাওয়া।
কষ্টে যখন অশ্রু ঝরে মা নেই কাছে বলব কাকে,
শিশির ফোঁটার স্বরলিপি ফুল কি ফোটায় শুকনো শাখে!
যতই ঝরাই অশ্রুধারা দরদ নিয়ে কেউ কি ডাকে!
বলবে,‘খোকা কাঁদিসনে আর, সাহস রাখিস দুর্বিপাকে।’
তুই কেনো রে গড়বি সাগর অঝোর ধারায় চোখের জলে!
আয় ফিরে আয় মায়ের কোলে, চোখ মুছে ফেল মার আঁচলে।
এত্তো কেন ভাবিস বোকা এই দেখ তোর মা-ই আছে !
মা থাকলে আর যম ঘেষেনা মায়ের বুকের ধনের কাছে।
গোমড়া মুখে থাকিসনে আর,যা-তো খানিক আদর নিয়ে,
বুকের যত কষ্ট আছে আমায় দে তা বুক জড়িয়ে।
দেখলি এখন কষ্টই শেষ; একেই বলে মায়ের মায়া,
জীবনটাভর থাকবে জানিস মা’র আশিসের শীতল-ছায়া।’