আইএমএফের ঋণে বৈষম্য আরও বাড়বে: সিপিডি

প্রকাশ | ১৫ মে ২০২৩, ২০:১১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণ করে তাদের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার পর বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বৈষম্য আরও বাড়বে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

এই ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশে আগে থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। এখন ঋণ নেওয়ার জন্য তাদের শর্ত পূরণ করতে প্রয়োজনীয় খাতে ভর্তুকি তুলে দেওয়া হলে এ বৈষম্য আরও বেড়ে যেতে পারে।

সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আইএমএফের সময়কালে অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের কথা জাতীয় বাজেটে কীভাবে প্রতিফলিত হতে পারে’ শীর্ষক সিপিডি-নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আইএমএফ  যখন কোনো দেশে কর্মসূচি নিয়ে যায়, তখন অনেক সময় সে দেশে বৈষম্য বেড়ে যায়। তারা যেসব শর্ত দেয়, তার কারণেই এটি হয়। এমনকি আইএমএফের নিজস্ব গবেষণায় এটা উঠে এসেছে।’

আইএমএফ কর্মসূচি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘যাদের জন্য এই আইএমএফ কর্মসূচি নেওয়া হয় তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের প্রতিনিধি ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এদের মতামত না নিয়ে আইএমএফ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশ আরও একটি বৈষম্যপূর্ণ দেশে পরিণত হবে।’

যাদের জন্য আইএমএফের ঋণ নেওয়া, তাদের সঙ্গে অথবা তাদের কল্যাণে যারা চিন্তা করে সেসব প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলা জরুরি বলে জানান দেবপ্রিয়।

আইএমএফের বাড়তি কর আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে দ্বিমত করার সুযোগ নেই। কিন্তু কাদের কাছ থেকে সেই কর আদায় করা হবে, সেটাই বড় কথা।’ এছাড়া দেশে কর আদায়ের আদর্শ ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি।

দেশের অনেক মানুষ উত্তরাধিকারসূত্রে বিপুল সম্পদ লাভ করছেন। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘সেখান থেকে কর আদায় করা উচিত।’

চালের কর্মসূচির বিষয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ টাকা কেজিতে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কর্মসূচি নিয়ে সবাই অবগত নয়। এটা কীভাবে কাজ করছে আমরা দেখেছি। আমরা দেখেছি চাহিদামতো চালের সরবরাহ নেই। অনেক চালের বস্তা ওজনে কম, মুখ খোলা। চালের মান ভালো না। পরিমাণে দেওয়া হয় কম। গরিব মানুষের সংযোগ হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংখ্যালঘু উর্দু ভাষাভাষী মানুষ দেশে বসবাস করেন। এসব মানুষসহ অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের জন্য বেশি বরাদ্দ দিতে হবে।’

সুলতানা কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা এমএ মান্নান এমপি। সংলাপে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও রানা মো. সোহেল এমপি প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৫মে/এমএইচ/ইএস)