সেন্টমার্টিনে বিদ্যুৎ না থাকায় সন্ধ্যা নামলেই ঘোর অন্ধকার, আতঙ্ক

সাইফুদ্দীন আল মোবারক, টেকনাফ (কক্সবাজার)
| আপডেট : ১৭ মে ২০২৩, ১৫:৫৩ | প্রকাশিত : ১৭ মে ২০২৩, ১৫:৪১

মোখার তাণ্ডব শেষ। সন্ধ্যা নামলেই ঘোর অন্ধকার নেমে আসে পুরো দ্বীপে। ঝড়ের কারণে অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফেরা দ্বীপবাসী।

জানা গেছে, শনিবার বিকাল থেকেই সেন্টমার্টিনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রবল বাতাসে ও গাছ পড়ে খুঁটি হেলেছে শতাধিক, ভেঙে গেছে ১০-১২টি, কোথাও তার ছিঁড়েছে, আবার কোথাও মিটার ভেঙেছে। অন্যদিক, সৌরপ্যানেল সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ৫০টি এবং আংশিক নষ্ট হয়েছে শতাধিক।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা মুফিজুর রহমান বলেন, মোখার প্রভাবে বৈদ্যুতিক লাইনের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুই দিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত মেরামত কাজ শুরু হয়নি। সেন্টমার্টিন সাবস্টেশনে জনবল আছে মাত্র ৩ জন। যতটুকু জেনেছি তারা এসবে দক্ষ নয়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।

এ বিষয়ে ব্লু মেরিন এনার্জি লিমিটেডের সেন্টমার্টিন সাবস্টেশনের প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সবকিছুর তথ্যাবলি ঊর্ধ্বতন মহলে অবহিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি টিম টেকনাফ পৌঁছেছে। সাগর উত্তাল থাকায় তারা সেন্টমার্টিন আসার অনুমতি পায়নি। আশা করছি খুব শিগগিরই মেরামত কাজ শুরু হবে।

সেন্টমার্টিন সাবস্টেশনের অডিট অফিসার ওমর ছিদ্দিক বলেন, যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে স্বাভাবিক হতে কাজ শুরু থেকে অন্তত ১০ দিন সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, ব্লু মেরিন এনার্জি লিমিটেড নামের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেন্টমার্টিনে সোলার মিনি গ্রিড পাওয়ার স্টেশনের মাধ্যমে দ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। সেন্টমার্টিন কোনারপাড়ায় ৪ দশমিক ৫ বিঘা জমিতে সৌরবিদ্যুতের এই প্রকল্পের ক্ষমতা ২ লাখ ৫০ হাজার ওয়াট। ৪৬৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি দিয়ে দ্বীপে ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন স্থাপন করে। ৯২৫টি সৌর প্যানেল (প্রতিটি ২৭০ ওয়াট করে) থেকে দৈনিক প্রায় ১০০০ ইউনিট ব্যবহার উপযোগী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৭মে/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :