ইতালিতে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ৯, মিলান কনস্যুলেটের হট লাইন চালু

প্রকাশ | ১৮ মে ২০২৩, ১১:২২

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকা টাইমস

ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় এমিলিয়া-রোমানিয়া প্রদেশে তুমুল বর্ষণ ও বন্যা-ভূমিধসে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগ এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনেছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

এদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলান একটি হট লাইন চালু করেছে। মিলান কনস্যুলেট অফিস তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, “উত্তর ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বন্যায় আমাদের প্রবাসী কোনও নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে, জরুরি কোনো প্রয়োজনে কনস্যুলেটের হটলাইন নম্বরে অথবা ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।” 

হটলাইন নম্বর: 3511841230

ইতালির বেসামরিক সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী নেল্লো মুসুমেকি বলেন, গত ৩৬ ঘণ্টায় এমিলিয়া রোমাগনায় বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাতের অর্ধেকেরও বেশি। তুমুল বৃষ্টির ফলে নদী ও অন্যান্য জলাশরের পানি উপচে পড়ায় প্রদেশটির বিভিন্ন শহরের বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট এবং হাজার হাজার একর কৃষিজমি ডুবে গেছে।

এমিলিয়া-রোমানিয়া প্রাদেশিক সরকারের প্রেসিডেন্ট স্টেফানো বোনাক্কিনি বলেন, এই প্রদেশে এর আগে আমরা এত বৃষ্টিপাত দেখিনি। এটা একটি অভূতপূর্ব দুর্যোগ। এত বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে যে পানি নির্গমন ব্যবস্থাগুলোও কাজ করছে না।

প্রাদেশিক সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩৬ ঘণ্টার বৃষ্টিতে এমিলিয়া-রোমানিয়া।  জুড়ে প্রায় ১২০টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। একটি সেতু ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সড়ক ও রেলপথগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ শহর ও গ্রাম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এই ভয়াবহ দুর্যোগে শহর-গ্রাম মিলিয়ে এমিলিয়া-রোমানিয়া প্রদেশের অন্তত ৩৭টি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আড্রিয়াটিক সাগরের তীরবর্তী রেভেন্না শহর। রেভেন্না নগর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, শহরের অধিকাংশ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হলেও এখন পর্যন্ত ঝুঁকিতে আছেন ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে তাদের এখনো সরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/১৮মে/এসএম)