কবিতা

ঘোর কাটে না গোর অবধি

প্রকাশ | ১৮ মে ২০২৩, ১৫:৩৪ | আপডেট: ১৮ মে ২০২৩, ১৫:৩৭

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া

কোন খেয়ালের খেয়ায় যে মানুষ পারাপার হতে চায়!

এর কানা-কড়ি জানে না তবুও; মর্ম পোড়ে না লজ্জায়।

কোন বন্ধনে বাঁধা পড়তে সে কোন সূতোটাকে ছিঁড়বে?

কোন ঘাট থেকে ভেলা ভাসিয়ে সে কোন কূলে শেষে ভিড়বে?

কোন ভুলটাকে শোধরাতে গিয়ে জড়াবে সে আরো ভুলে?

জানে না কতো-যে তীক্ষ্ণ ত্রিশূল বুকের উপরে ঝোলে।

 

সব দানে তার জিততেই হবে,মানবে না কোনো হার,

জিতের উপর শতভাগ যেনো একা তারই অধিকার।

বিত্ত বেসাতে একচেটিয়া সে, ফেরেবী যা কারবার,

লাভ ও পূঁজিতে একা সে একশ’— নেবে না অংশীদার।

প্রেম হোক খাঁটি,নয় হোক মাটি; তাতে কী বা আসে যায়!

ভোগের ভাগাড়ে প্রেমের পুলক কীটে কুরে কুরে খায়।

 

কোন খাদ থেকে বাঁচতে পরের জন্যে-সে খাদ খুঁড়ছে?

কোন বাগিচাতে  প্রসূণ ফোটাতে পরের বাগান পুড়ছে?

কোন বান থেকে জীবন বাঁচাতে পরে চালাকির বর্ম?

কোন অহমবোধে গর্বিত হতে তোলে অন্যের চর্ম?

কোন গোলাটাকে ভরবে বলেই অভাগার ধন লুটছে?

কোন মঞ্জিলে যাবার জন্যে হন্যে হয়ে সে ছুটছে?

 

পথ যে চলছে বিরামবিহীন,পথের শেষটা কোথায়?

গন্তব্যের মানচিত্র তো থাকে না পায়ের পাতায়।

কেনো যে আছে, কেনো যে বাঁচে, শেষে যে কোথায় যাবে!

ভাবতে ভাবতে  সেই ভাবনার কূল কিনারা কি পাবে?

 

এই গ্রহটার একটা মানুষও কিছুই জানে না পষ্ট,

কেনো আসা যাওয়া,কোনো চাওয়া পাওয়া,কিবা তার উদ্দীষ্ট।

পিশাচের পিঠে চড়ে সে বেড়ায় কার মোহে

কোন ঘোরে?

সেটাও পষ্ট  জানবার আগে যায় শ্মশানে বা গোরে।