নতুন প্রজন্মের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উদ্বোধন ইরানের

প্রকাশ | ২৫ মে ২০২৩, ১৭:১০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান সফলতার সঙ্গে নতুন প্রজন্মের একটি প্রিসিশন গাইডেড ব্যালিস্টিক মিসাইলের উদ্বোধন করেছে। ২০০০ কিলোমিটার পাল্লার খাইবার-৪ নামের এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা আসতিয়ানির উপস্থিতিতে উৎক্ষেপণ করা হয় বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে।

ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী প্রধান ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচীর বিষয়ে দেশটির বিরুদ্ধে ‘পদক্ষেপ’ গ্রহণের সম্ভাবনার কথা তোলার দুই দিন পর এবং ইরাকের সাবেক শাসক সাদ্দামের বাহিনীর কবল থেকে ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ‘খুররামশাহর’ মুক্ত করার ৪১তম বার্ষিকীতে তেহরান এ পরীক্ষা চালাল।

এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা যেমন বাড়ানো হয়েছে, তেমনি উন্নত গাইডেন্স এবং কন্ট্রোল সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। তাতে ক্ষেপণাস্ত্রের সামগ্রিক কার্যক্ষমতা এবং শক্তি অনেক বেড়েছে। ফলে এই ইরানের সামরিক শক্তিকে আরো অনেকটা বাড়িয়ে তুলবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসতিয়ানি বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশ এবং ইসলামি বিপ্লবের অর্জনকে রক্ষার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটিই হচ্ছে আজকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বার্তা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, বিমান প্রতিরক্ষা এবং আরো অনেক কিছু দিয়ে সজ্জিত করতে যাচ্ছি। এতে কোনো সন্দেহ নেই- ভবিষ্যতে আরও অনেক অর্জনই উন্মোচন করা হবে।’

খাইবার-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি অত্যাধুনিক একটি ক্ষেপণাস্ত্র যার নকশা করেছেন ইরানের সামরিক বিশেষজ্ঞরা। এটি হচ্ছে তরল জ্বালানি চালিত ক্ষেপণাস্ত্র এবং এর পাল্লা দুই হাজার কিলোমিটার। এই ক্ষেপণাস্ত্র দেড় হাজার কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম।

ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম খেইবার। ইসলামের উন্মেষকালে এই নামের একটি ইহুদি দুর্গ জয় করেছিল মুসলিমরা।

মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী আছে ইরানের। তারা এখনো ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি। দেশটি জানিয়েছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েল ও ওই অঞ্চলে থাকা মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে আঘাত হানতে পারবে। কেননা ইরানকে নিজেদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করে ইসরায়েল।

ইরানের দাবি, তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও অন্য সম্ভাব্য আঞ্চলিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধমূলক এবং প্রতিশোধমূলক শক্তি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপী দেশগুলোর বিরোধিতা সত্ত্বেও তেহরান জানিয়েছে, তারা তাদের ‘আত্মরক্ষামূলক’ ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীর আরও উন্নয়ন ঘটাবে।

(ঢাকাটাইমস/২৫মে/এসএটি)