অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটিতে নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপিত

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২৩, ১৭:৫১

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সমকাল সুহৃদ সমাবেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ফুলেল শ্রদ্ধা, আলোচনা, নাচ-গান, আবৃত্তিসহ নানা আয়োজনে দ্রোহ, প্রেম ও চেতনার কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট লিয়াকত সিকদার।

কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা এই কবির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. জেহাদ উদ্দিন।

এছাড়াও আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সমকালের পরিকল্পনা সম্পাদক ও লেখক ফারুক ওয়াসিফ।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ হেমায়েত হোসেন। 

প্রেম ও গণমানুষের কবি নজরুল প্রসঙ্গে প্রধান আলোচক মো. জেহাদ উদ্দিন বলেন, তিনি (নজরুল) ছিলেন বাঙ্গালি জাতির অনুপ্রেরণা, আদর্শ ও শক্তি। তারুণ্যে পথ চলার জন্য তার কবিতা ও গান সাহস জোগাবে। শিক্ষায়, ব্যক্তিজীবনে ও কর্মক্ষেত্রে তাকে ধারণ করতে পারলে, আমরা এগিয়ে যাবো বহুগুণ। নজরুলের জীবন ও সাহিত্য বিশাল এক সমুদ্রের মতো।

লেখক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, একটি দেশ ও সমাজ গঠনের কবি ও শিল্পীদের দরকার, তাদের গুরুত্বে অপরিসীম। মানবজীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার স্মৃতি, অনুভূতিকে লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেন কবিরা। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বিখ্যাত ও জনপ্রিয় কবি নজরুল। যিনি ছিলেন লেটোর গানের দলের স্যাঙাত, দূরদেশের রণাঙ্গনের সৈনিক, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং কারাভোগী বিপ্লবী। তরুণদের এগিয়ে যেতে হলে কবি নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্য নিয়ে অধিক চর্চা করতে হবে, তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারন করতে হবে।

প্রধান অতিথি এসময় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সংগীত ও সাহিত্য চর্চায় অসাম্প্রদায়িকতা, দ্রোহ, নারী-পুরুষের সমতা এবং মুক্তি সংগ্রামে লেখনীর মাধ্যমে তাঁর উৎসাহ দানের বিষয়ে আলোকপাত করেন। চমৎকার ও দৃষ্টিনন্দন অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার এ.কে.এম দেলোয়ার হোসেন, রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল কাইউম সরদার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কামরান চৌধুরীসহ বিভিন্ন বিভাগের অ্যাডভাইজর, চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আলোচনা শেষে কেক কাটেন সুহৃদ সমাবেশের শিক্ষার্থী ও অতিথিবৃন্দ। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের মাধ্যমে অভিবাদন জানালো হয়। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে সমকাল এডাস্ট সুহৃদ কমিটির শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/এসএ)