কাজী হায়াতের সভাপতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সোহানুর রহমান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ মে ২০২৩, ১৭:৪০

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির আঙিনায় চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তরকে নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে পরিচালক সমিতি। এ নিয়ে যখন গণমাধ্যমকর্মীদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ চলছে ঠিক সেই মুহূর্তে সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে উত্তেজিত হয়ে দাবি করেন- ‘আহমেদ তেপান্তর কোনো সাংবাদিকই নন, তাকে আমি চিনি না’।

তার এমন কথায় বিস্ময় প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়ায় সমিতির সাবেক সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান কাজী হায়াতের সভাপতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আহমেদ তেপান্তর একজন প্রকৃত সাংবাদিক এবং সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক। তাছাড়া ব্যক্তি হিসেবে সে ভালো একজন মানুষ। মানুষের বিপদে আপদে তেপান্তর সবার আগে এগিয়ে থাকে। সামান্য একটা বিষয়কে এতদূর নিয়ে যাবে কেন? এটা সে অনেক আগেই মিলিয়ে দিতে পারত। সেই ক্ষমতাটাই তার নেই।’

‘তাহলে সে কেমন সভাপতি? পরিচালক সমিতির সভাপতির কার্যক্রম যদি এমন হয় তবে ইন্ডাষ্ট্রি টিকবে কিভাবে? আর সংগঠনের সভাপতি কাজী হায়াৎ যা করেছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমি যা শুনেছি তাতে এটা শিওর সাংবাদিক আহমেদ তেপান্তর ভালো কাজ করতে গিয়ে সেটিই তার জন্য কাল হল। আমরা বলতাম, আগে আওলাদ কিন্তু সবার বিপদে এগিয়ে আসত। সবার মনে মনে ছিল আওলাদ। প্রতিটা লোকের বিপদে আপদে আওলাদকে পাশে পাওয়া যেত। সেই আওলাদের জায়গাটা পরে তেপান্তরের মধ্যে ফুটে উঠেছে।’

গুণী পরিচালক এফ আই মানিক বলেন, ‘তেপান্তর একজন প্রকৃত সাংবাদিক। ইন্ডাস্ট্রির ভালো মানুষগুলোর সঙ্গে তেপান্তরের সুসম্পর্ক। আর তেপান্তর যা করে সেটা প্রোপারলি করে। সাংবাদিকতা মহান পেশা, আর সেই জায়গায় থেকে তেপান্তর সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। আর তেপান্তর অহেতুক কোন বিষয় নিয়ে কথা বলে না। আর এ ব্যাপারে কাজী হায়াৎ ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়নি আর শাহীন সুমনের সঙ্গে কথা বলার প্রশ্নই আসে না। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর বিষয়। আমি মনে করি সমস্যা যেটাই হোক সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়ে যায়। কমিউনিটিতে তার একটা অবস্থান আছে। তেপান্তরের সঙ্গে যা হয়েছে এটা খুবই দুঃখজনক। যাই হয়েছে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত। তারপরও তাকে বুঝিয়ে বললে আশা করি সমাধান সম্ভব। সে উদ্যোগ নিন।’

পরিচালক খিজির হায়াত খান বলেন, ‘তেপান্তর ভাই একজন সিনেমপ্রেমী সাংবাদিক এবং অত্যন্ত ভালো লিখেন তিনি। তার সঙ্গে যা হয়েছে এটা আসলে উচিৎ হয়নি। শাহীন ভাই ও তেপান্তর ভাইয়ের সঙ্গে ক্যাজুয়াল সম্পর্ক। তো সে জায়গা থেকে বিষয়টা এতদূর না গড়ানোয় ভালো ছিল। বিষয়টিকে আর না বাড়িয়ে দুপক্ষ বসে একটা সুষ্ঠ সমাধান করা উচিৎ।’

সাংবাদিক আহমেদ তেপান্তরকে চেনেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সাংবাদিক আহমেদ তেপান্তরকে আমি চিনি। তাকে না চেনার কোন কারণ নেই।’

পরিচালক সমিতির সাবেক মহাসচিব বদিউল আলম খোকনের বলেন, ‘আহমেদ তেপান্তরের উদ্যোগেই প্রদর্শক সমিতি ও পরিচালক সমিতির মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটে। সো তাকে না চেনার কিছু নেই। এখন কাজী হায়াৎ ভাই কেন এ কথা বললেন সেটা আমি বলতে পারব না। একজন নেতৃত্ব পর্যায়ের চলচ্চিত্রবান্ধব সাংবাদিক হিসেবে পরিচালক সমিতির সভাপতি হিসেবে তাকে না চেনাটা আমাকে অবাক করেছে।’

প্রদর্শক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরফুদ্দিন এলাহী সম্রাট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘দায়িত্বশীল চেয়ারে বসে হায়াৎ সাহেবের এমন কথা পাগলের প্রলাপের মতোই। আমি স্পষ্ট বলতে পারি চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সমিতির মধ্যে সমন্বয় সাধনসহ ধ্বসে পড়া চলচ্চিত্রের স্বর্ণালী অতীত পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি এই শিল্পের বিকাশ ও সমৃদ্ধিতে গত কয়েক বছর তার ভূমিকা প্রশংসনীয়।’

এদিকে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) দপ্তর সম্পাদকের ওপর চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নিষেধাজ্ঞ দেওয়ায় এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিনোদন সংবাদিকদের সংগঠনটি।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বিনোদন সাংবাদিকদের সংগঠন জানিয়েছে, এ ব্যাপারে অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও লিখিতভাবে ক্ষমা না চাইলে উল্টো পরিচালক সমিতিকেই বয়কট করা হবে।

অপরদিকে গুণী নির্মাতা মালেক আফসারী ফেসবুকে লিখেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে সমিতির দূরত্ব বাড়ছে। কয়েক যুগের এই সম্পর্ক। বন্ধুত্ব ধরে রাখুন নইলে বদনাম হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/এলএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :