যুক্তরাষ্ট্র থেকে হঠাৎ রেমিট্যান্স আসা বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে সন্দেহ সিপিডির

প্রকাশ | ২৭ মে ২০২৩, ১৫:৫৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে হঠাৎ করে রেমিট্যান্স আসা বেড়ে যাওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। পাচার হওয়া অর্থ রেমিট্যান্স হিসেবে ফেরত আসছে বলে ধারণা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, পাচারকারীরা রেমিট্যান্সে দেওয়া আড়াই শতাংশ প্রণোদনাও নিচ্ছেন।

শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২২-২৩: তৃতীয় অন্তর্বর্তীমূলক পর্যালোচনা’ জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, এটা একেবারেই অস্বাভাবিক, কখনোই হয় না। কারণ, আমরা জানি আমাদের বেশির ভাগ রেমিট্যান্স কোথা থেকে আসে। গত ১০ মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ৯ দশমিক ২২ লাখ মানুষ গেছে। সেখান থেকে প্রত্যাশা মতো রেমিট্যান্স আসছে না। লোক যাওয়া ও রেমিট্যান্সের মধ্যে মিসম্যাচ (অসঙ্গতি) হচ্ছে। এতদিন সৌদি আরব থেকে বেশি রেমিট্যান্স এলেও যুক্তরাষ্ট্র এখন সে জায়গা দখল করেছে।

‘যুক্তরাষ্ট্রে যারা যায় তাদের বেশিভাগই হোয়াইট কালার জব করে। অনেকেই ঘরবাড়ি ও জমিজমা বিক্রি করে দেশ থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়। অনেক শিক্ষার্থীও সেদেশে আছে। তারা তো আর টাকা পাঠাতে পারে না। তাহলে বিপুল এ রেমিট্যান্স আসছে কোথা থেকে!’

তিনি আরও বলেন, এর একটা সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হতে পারে এমন- যেখান থেকে টাকা পাচার হয়েছে সেটা আবার রেমিট্যান্স হয়ে দেশে ফেরত আসছে। রেমিট্যান্সের ওপর যে আড়াই শতাংশ ইনসেন্টিভ বা সাবসিডি দেওয়া হচ্ছে সেটার সুযোগ নেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে আরও গভীরে গিয়ে বিষয়টির অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি কমানোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছে সিপিডি। বিশেষ করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে কৃষিখাতে ভর্তুকি না কমানোর সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া জ্বালানি ও অন্যান্য খাতেও ভর্তুকি ধাপে ধাপে কমানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) জন্য বাংলাদেশের অর্থনীতির তৃতীয় অন্তবর্তীকালীন পর্যালোচনায় এসব সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, আইএমএফ এর শর্ত সামনে রেখে জাতীয় স্বার্থ মাথায় রেখে সংস্কারের কাজে হাত দিতে হবে। এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে নীতিমালা তৈরির প্রবণতা পরিবহার করতে হবে। পাশাপাশি ঋণ খেলাপি কমিয়ে আনতে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালার প্রয়োগ করার সুপারিশ করেছে সিপিডি।

(ঢাকাটাইমস/২৭মে/কেআর/ইএস)