সুখী থাকতে চান? একটি সহজ উপায় জেনে নিন

প্রকাশ | ২৮ মে ২০২৩, ১০:১০ | আপডেট: ২৮ মে ২০২৩, ১১:১৩

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

সুখ একটি মানবিক অনুভূতি। সুখ মনের একটি অবস্থা বা অনুভূতি যা ভালোবাসা, তৃপ্তি, আনন্দ বা উচ্ছ্বাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। জৈবিক, মানসিক, মনস্তাত্ত্বিক, দর্শনভিত্তিক এবং ধর্মীয় দিক থেকে সুখের সংজ্ঞা নির্ধারণ এবং এর উৎস নির্ণয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। সঠিকভাবে সুখ পরিমাপ করা অত্যন্ত কঠিন।

আপনার হাস্যময় মুখই বলে দেয় আপনি অন্তর থেকে কতটা সুখী। সুখ আর হাসি কোনোটি পরিমাপযোগ্য নয়। তবে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে চলা গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এটাই প্রমাণিত, হাসি সত্যিই মানুষকে আরও সুখী করে তুলতে পারে। তাই হাসিই হচ্ছে সুখী থাকার অন্যতম সহজ উপায়।

গবেষণা অনুযায়ী, সদা হাস্যমুখের অভিব্যক্তিতে ভিন্ন আবেগ অনুভূত হয়, সেই আবেগই সুখের চাবিকাঠি। মেটা বিশ্লেষণ নামে একটি পরিসংখ্যান কৌশল ব্যবহার করে, গবেষকরা ১৩৮টি গবেষণা থেকে বিশ্বজুড়ে ১১ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীকে পরীক্ষা করে এই তথ্য সংগ্রহ করেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টিনাসি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ছাত্র নিকোলাস কোলস বলেন, ‘প্রচলিত জ্ঞান ও সম্যক ধারণা থেকে এটা আমরা নিজেরাই বুঝতে পারি যে হাসলে নিজেরা ভেতর থেকে খানিক সুখী বোধ করি এবং রাগ হলে কিছুটা মেজাজি থাকি। কিন্তু মনস্তত্ত্ববিদরা গত ১০০ বছর ধরে এই ধারণা সম্পর্কে অসম্মতি প্রকাশ করে গেছেন।’

এই অসম্মতিটি আরও জোরদার হয় যখন ২০১৬ সালে ১৭ জন বৈজ্ঞানিকের দল প্রমাণ করতে কার্যত ব্যর্থ হন যে, হাসি মনস্তাত্ত্বিকভাবে মানুষকে সুখী করে তোলে।

নিকোলাস কোলস জানান, বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া যায় না যে মুখের অভিব্যক্তিগুলো মানসিক অনুভূতিগুলোকে আদৌ প্রভাবিত করতে পারে কি না। তিনি বলেন, কোনো এক ধরনের গবেষণার ওপর নির্ভর করে কাজ করা হয়নি। মেটা বিশ্লেষণ নামে একটি পরিসংখ্যান কৌশল ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে ১১ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীকে পরীক্ষা করে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

সাইকোলজিক্যাল বুলেটিন জার্নালে প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে, মুখের ভাবমূর্তি অনুভূতিদের ওপর ছোটখাটো প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, হাসি মানুষকে অন্তর থেকে সুখী করে তোলে, সাময়িক মেজাজ ক্রোধের সঞ্চার করে এবং বিরক্তি এক অন্তরবেদনার উদ্রেক করে।

এই গবেষণা থেকে আরও বোঝা যাচ্ছে, উত্তেজনাপূর্ণ অভিব্যক্তি কীভাবে মন ও শরীরের আবেগের মধ্যে সচেতনভাবে যোগাযোগ স্থাপন করছে। তবে এখনো অভিব্যক্তির প্রভাব সম্পর্কে অনেক কিছু জানার বাকি আছে। কিন্তু মেটা অ্যানালিসিসের মাধ্যমে কিছুটা হলেও বোঝা গেছে আবেগ কিভাবে কাজ করে।

(ঢাকাটাইমস/২৮মে/এজে)