বাংলাদেশ কোনো সংঘাত চায় না, শান্তি চায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৯ মে ২০২৩, ১৪:৫৭ | আপডেট: ২৯ মে ২০২৩, ১৫:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

‘বাংলাদেশ কোনো সংঘাত চায় না, শান্তি চায়’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘যেকোনো সংঘাত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়, আমরা সমাধান চাই।’

সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস  উপলক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শাহাদাতবরণকারী অফিসার ও সৈনিক পরিবারের সদস্য এবং আহতদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেবল বাঙালি জাতিরই নন, তিনি ছিলেন বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের মুক্তির বার্তাবাহক ও শান্তির দূত। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলায় প্রদত্ত তাঁর প্রথম ভাষণে তিনি বলেছিলেন, মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শাস্তি একান্ত দরকার। এই শান্তির মধ্যে সারা বিশ্বের সব নর-নারীর গভীর আশা-আকাঙ্ক্ষা মূর্ত হয়ে রয়েছে। ন্যায়নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত না হলে শান্তি কখনও স্থায়ী হতে পারে না।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা রোধ, সাম্য-মৈত্রী, গণতন্ত্র রক্ষা এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করে। তিনি সেই পদক উৎসর্গ করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মদানকারী শহিদদের এবং বীর সেনানীদের। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে পৌঁছে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে জাতির পিতা বলেছিলেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়-এটাই হবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূলভিত্তি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি আমরা। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলব। ফলে আর্থসামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি বাহিনী ও মানুষের জীবনমান উন্নত করার চেষ্টা করছি।’ 

‘বাংলাদেশ এগিয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে হতদরিদ্র এখন ৫ দশমিক ০৭ শতাংশ। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমাদের লক্ষ্য- দেশে আর কোনো হতদরিদ্র থাকবে না। এটা আমরা দূর করব। দেশে একটি মানুষও ভূমি ও গৃহহীন থাকবে না।’

(ঢাকাটাইমস/২৯মে/জেএ/এফএ)