ড. কুদরত-ই-হুদা ঢাকা বিভাগের কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত
প্রকাশ | ৩০ মে ২০২৩, ১৩:৩১ | আপডেট: ৩১ মে ২০২৩, ১০:২৩

ঢাকা বিভাগের কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন ড. কুদরত-ই-হুদা। তিনি বর্তমানে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে দুদিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। অনুষ্ঠানের শেষ দিনে সোমবার কলেজ পর্যায়ে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে এ বছর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন ড. কুদরত-ই-হুদা। তাঁকে এ পর্যায়ে আসতে এর আগে কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক ক্যাটাগরিতে উপজেলা ও জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে আসতে হয়েছে।
কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি কুদরত-ই-হুদা প্রাবন্ধিক ও গবেষক হিসেবেও পরিচিত। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে তিনি নিয়মিত শিল্পসাহিত্য, ইতিহাস ও চিন্তামূলক লেখালেখি করে থাকেন। কুদরত-ই-হুদা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার কামারগ্রামের আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবেও ভূমিকা রাখছেন।
গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য কুদরত-ই-হুদা মহাকবি মধুসূদন পদক ২০২৩ পেয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন একজন শিক্ষক ও গবেষককে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মনোনীত করায় শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণাকে আরো উৎসাহিত করবে। ছাত্রছাত্রীরা গুণগত শিক্ষা পাবে।
এ বিষয়ে ঢাকা টাইমসকে এক প্রতিক্রিয়ায় কুদরত-ই-হুদা বলেন, ‘আমার পিতা শিক্ষক ও কবি ছিলেন। আমিও শিক্ষক ও গবেষক হয়েছি। শিক্ষকতা ও গবেষণা আমার কাছে যতটা না পেশা তার চেয়ে বেশি নেশা। শিক্ষকতা ও গবেষণা আমাকে করতেই হয়। কোনো পদক বা পুরস্কারপ্রাপ্তির আশায় করি না। এটা আমার প্রিয় নিয়তির মতো।’
ঢাকা বিভাগে কলেজ পর্যায়ে তাকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত করায় এ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানান কুদরত-ই-হুদা। বলেন, ‘বিচারকরা আমার মধ্যে এই ধারণা তৈরি করতে পেরেছেন যে, সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যায়নি।’
কুদরত-ই-হুদার বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থও রয়েছে। এর মধ্যে আছে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘জাতীয়তাবাদী চিন্তার বিকাশ: বাংলাদেশের ষাটের দশকের কবিতা’; প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ‘জসীমউদ্দীন’ এবং আদর্শ প্রকাশনা থেকে ‘শওকত ওসমান ও সত্যেন সেনের উপন্যাস: আঙ্গিক বিচার’।
এছাড়া কুদরত-ই-হুদা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয়পত্র গ্রন্থেরও রচয়িতা (যৌথভাবে)। এশিয়াটিক সোসাইটি পত্রিকা, বাংলা একাডেমি পত্রিকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালে তাঁর প্রকাশিত গবেষণা-আর্টিকেলের সংখ্যা বিশের অধিক।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের ব্যাংকেরচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কুদরত-ই-হুদা। পিতা কবিরত্ন এম এ হক। মাতা মহুয়া হক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রিধারী কুদরত-ই-হুদা ব্যক্তিজীবনে দুই কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী তানজিন জাহান পেশায় চিকিৎসক।
(ঢাকাটাইমস/৩০মে/এমআই/ডিএম)