ফুটবলে উত্তেজনা ফেরাল আবাহনী-মোহামেডান

প্রকাশ | ৩০ মে ২০২৩, ১৮:৩৫

মুকুল মুর্শেদ
ঢাকা টাইমস

২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল আবাহনী-মোহামেডান। সেবারের মতো এবারও নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়ে আসেনি ফলাফল। বিজয়ী নির্ধারণ করার জন্য পেনাল্টি শ্যুটআউটটে চোখ রাখতে হয় সারা দেশের ফুটবলপ্রেমীদের।

কিন্তু সেবারের তুলনায় এবারের ফাইনালের উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাজার গুণ। তা তো হবেই, কেননা ১৪ বছরের জমানো আবেগ একেবারে ঢেলে দিয়েছে দুদলের সমর্থক। আর উভয় দলের ফুটবলাররাও সেই সুযোগটা করে দিয়েছে। ম্যাচে গোল হয়েছে মোট আটটি।

১৪ বছর আগের সেই ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। এবারের চিত্রটা পুরোপুরি ভিন্ন। প্রথমার্ধেই দুই গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। স্টেডিয়াম উল্লাসে ফেঁটে পড়ে আকাশী-নীল রংয়ের সমর্থকরা। অনেকে তো ধরেই নেয়, হয়তো সহজ জয় পেতে যাচ্ছে আবাহনী।

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের চিত্রের পট পরিবর্তন ঘটে। সুলেমান দিয়াবাতের করা দুই গোলে সমতায় ফেরে মোহামেডান। তবে আবারও লিড নেয় আবাহনী। ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণের মাধ্যমে দলকে আরও একবার সমতায় ফেরান মালির তারকা ফুটবলার সুলেমান। ৯০ মিনিট শেষ হয় ৩-৩ গোল ব্যবধানে।

অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের প্রথমার্ধে নিজের চতুর্থ গোলটি করার মাধ্যমে এবার মোহামেডানকে লিড এনে দেন সুলেমান। তবে দমে যাওয়ার দল যে আবাহনী নয়, সেটা জানতো সবাই। ১২০ মিনিট শেষ হওয়ার আগেই রহমত শাহের দুর্দান্ত শট থেকে গোল এলে ৪-৪ ব্যবধানে খেলা শেষ হয়। ফলে ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে আবাহনীর দুই ব্রাজিলিয়ানের গোল ঠেকিয়ে দেন মোহামেডানের গোলকিপার। ৪-৩ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় সাদা-কালো জার্সিধারীদের।

আর এই জয়ের মাধ্যমে ফেডারেশন কাপে নিজেদের ১১তম শিরোপা নিশ্চিত করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অবশ্য সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান এখনও দুই নম্বরেই থাকছে। একবার বেশি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আবাহনী রয়েছে শীর্ষেই। তারা জিতেছে মোট ১২বার।

(ঢাকাটাইমস/৩০মে/এমএম)