ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র থেকে দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেবে সরকার

প্রকাশ | ০১ জুন ২০২৩, ১৯:০৫

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছে সরকার। প্রস্তাবিত এই বাজেটের ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার ব্যাংক খাত এবং সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেবে ১ লাখ ৫০ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এর আগে মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের পর বাজেট প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে।’

দেশের ইতিহাসে বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এ বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিতে চায় ব্যাংক খাত থেকে। প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ বাড়িয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এ ব্যাংক ঋণের মধ্য থেকে বাড়তি সুদের দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ ৮৬ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। আর তুলনামূলক কম সুদের ঋণ ৪৫ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।

এদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চয়পত্রে নির্ভরতা কমাচ্ছে সরকার। এবার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ঠিক করছে সরকার। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৪৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ১৭ হাজার কোটি টাকা কম। চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য ঠিক করা আছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫ হাজার কোটি টাকা হলেও এর ধারেকাছে যেতে পারেনি। উল্টো ১০ মাসে এ খাতে আগের ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে তিন হাজার ৫৮০ কোটি টাকা।

জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৬৮ হাজার ৩৮ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকার। আর এই খাতের মোট পরিশোধ করেছে ৭১ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১০ মাসে ৩ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে।

(ঢাকাটাইমস/০১জুন/এমএইচ/ইএস)