কেসিসি নির্বাচন: প্রচারণায় ‘সাউন্ড সিস্টেম ও ডিজিটাল’ পদ্ধতিতে রেকর্ডের কদর বেড়েছে

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০২৩, ২৩:০৮

খুলনা ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারণায় আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে রেকর্ডিং করে প্রচারণার কদর বেড়েছে। ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে। প্রার্থীরা নিজেদের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি এবং স্বপক্ষে নানা স্লোগান তুলে ধরে তা রেকর্ডিং করে মাইকে প্রচার করছেন। ফলে লোকবল ও ব্যয় কম হচ্ছে। অপরদিকে, ব্যস্ততা বেড়েছে ছাপাখানাগুলোতেও। প্রেস গুলোতে পোস্টার, হ্যান্ডবিল, স্টিকার ও লিফলেট ছাপাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।

খুলনা নগরীর হাদিস পার্কের সামনে ‘মিডিয়া মাইক অ্যান্ড সাউন্ড’ নামক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে  দেখা যায়, সারি সারি ইজিবাইকে লাগানো হচ্ছে মাইক। দোকান কর্মীদের সঙ্গে ব্যস্ত প্রার্থীর লোকজন। দোকানটির ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন জানালেন, ভোট তার ব্যবসা জমিয়ে দিয়েছে। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫টি মাইক ভাড়ায় যাচ্ছে। ভোট ঘিরে স্লোগান, গান ও প্রার্থীর বক্তব্য রেকর্ড করতে ঘাম ছুটে যাচ্ছে।

নগরীর রূপসা ট্রাফিক মোড়ে ‘গ্লোরি আর্ট প্রেস’। এখানে সবাই ব্যস্ত। কারও কথা বলার ফুরসত নেই। ছাপাখানা থেকে সমানে বের হচ্ছে পোস্টার ও লিফলেট। শ্রমিক-কর্মচারীদের কেউ সেগুলো সঠিক মাপে কাটছেন, কেউ করছেন বান্ডিল। ব্যস্ততার ফাঁকে প্রেসটির মালিক জাহিদ হাবিব জানালেন, ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই ব্যস্ততা বেড়েছে। প্রার্থীদের চাহিদা মেটাতে সবাই বাড়তি কাজ করছেন।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে নগরীর অর্ধশত মাইকের দোকান এবং শতাধিক ছাপাখানায় বেড়েছে ব্যস্ততা। দুপুর ২টার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নগরীর প্রধান সড়ক ছাড়াও অলিগলিতে চলছে মাইকিং। পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়। বিভিন্ন স্থানে শোভা পাচ্ছে নির্বাচনী প্রতীকের পোস্টার।

খুলনা মুদ্রণশিল্প মালিক সমিতির নেতা মো. নাসির উদ্দীন বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে প্রায় সব প্রেসই পোস্টার-লিফলেট ছাপছে। কিছু প্রেসে সারারাত কাজ হচ্ছে। শ্রমিকদের বাড়তি মজুরি দিয়ে কাজ করাচ্ছেন মালিকরা।

এদিকে, মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত গণসংযোগ করছেন। তাদের কর্মী-সমর্থকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, কাউন্সিলর পদে ১৩৪ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বনিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

(ঢাকাটাইমস/৫জুন/এআর)