ধর্ষণের শিকার এসএসসি ফল প্রার্থীর আত্মহত্যা
প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২৩, ১৮:৫৬

পটুয়াখালীর গলাচিপায় উপজেলায় ধর্ষণের পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মারুফা আক্তার নামে এক এসএসসি ফল প্রার্থীর।
মারুফা উপজেলার চিকনীকান্দি কোর্টখালী গ্রামের মৃত আবু সালের মেয়ে ও বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা শেষ করেছে। বর্তমানে ফলপ্রার্থী।
মারুফার বোন তামান্না ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার বোন মারুফা আক্তারকে বাড়ির প্রতিবেশী মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন নুহু হাওলাদার প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। মারুফা বিষয়টি আমাদেরকে বলার পর পারিবারিকভাবে আমরা নুহুর স্ত্রী ও পরিবারকে জানাই। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি, উল্টো মারুফাকে দোষারোপ করে আমাদেরকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখান। মারুফাকে প্রায় সময় উত্ত্যক্তসহ মানসিক টর্চার করতেন নূহু ও তার পরিবারের সহযোগীরা।
গত রবিবার বিকাল চারটার দিকে মারুফা মানসিকভাবে হঠাৎ ভেঙে পড়েন। তাকে অস্বাভাবিক দেখার কারণে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি, একপর্যায়ে মারুফা জানিয়েছেন নুহু তাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে দুইদিন আগে জোর করে ঘরের পাশে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেছে ।
তামান্না আরো জানান, আমার বোন অবিবাহিত, এমন একটি বিষয় জানার পর আমরা চিন্তায় পড়ে গেছি। পারিবারিকভাবে বিষয়টি আলোচনা করতে গেলে সন্ধ্যা ছয়টায় মারুফা ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্তভাবে গলায় ফাঁস দেয়।
মারুফাকে উদ্ধার করে গলাচিপায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করেন। বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে হাসপাতালে আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মিরাজ মোল্লা জানান, মারুফার আমরা সুরতহাল করেছি, পায়ের নিচে কালো দাগ আছে।
পরিবার থেকে ধর্ষণের বিষয়টি জানিয়েছেন। বাকিটা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যাবে।
এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েন জানান, এই ধরনের অভিযোগ এখন পর্যন্ত কেউ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেব।
(ঢাকাটাইমস/৬জুন/এআর)