সালিশি বৈঠকে প্রতিবেশী জামাইয়ের চাপাতির কোপে প্রাণ গেল কৃষকের
প্রকাশ | ০৭ জুন ২০২৩, ১১:৫৯ | আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩, ১২:২২

দিনাজপুরে সালিশি বৈঠকে প্রতিবেশী জামাইয়ের চাপাতির কোপে আব্দুস সোবহান (৬০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সাবেক ইউপি সদস্য মোতাহার হোসেন নামে আরও একজন আহত হয়।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় দিনাজপুরের দক্ষিণ কোতোয়ালির ৯ নম্বর আস্করপুর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন সুন্দরা মাঝাপাড়া মুকুন্দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুস সোবহান সুন্দরা মাঝাপাড়া গ্রামের আমিন আলীর ছেলে।
ঘাতক প্রতিবেশী জামাই নুর মোহাম্মদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
জানা গেছে. নুর মোহাম্মদের সঙ্গে ২৫ বছর আগে দিনাজপুর দক্ষিণ কোতোয়ালির ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলায়ার সুন্দরা মুকুন্দপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন ফেত্তার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ঘরজামাই হিসেবে শ্বশুরালয়ে ছিল নুর। তাদের সংসারে দুটি ছেলে-মেয়ে রয়েছে। আড়াই বছর আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের সূত্র ধরে নুর গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে চলে যায়। স্ত্রীকে ও ছেলে-মেয়েকে নেয়ার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে নুর শ্বশুর বাড়িতে আসে। এ নিয়ে জয়নাল হোসেন একালাবাসীদের নিয়ে রাত ১১ টায় সালিশি বৈঠক ডাকে। বৈঠক চলাকালে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে জামাই নুর কোমরে গুজে রাখা চাপাতি দিয়ে বৈঠকে উপস্থিত লোকদের এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এতে গদ্দানের পেছনে কোপ লেগে ঘটনাস্থলেই প্রতিবেশী কৃষক আব্দুস সোবহান নিহত হন। আহত হয় সাবেক ইউপি সদস্য মোতাহার হোসেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, এ ঘটনায় ঘাতক নুর মোহাম্মদকে আজ বুধবার সকালে বোর্ডহাট নামক স্থান থেকে আটক করা হয়েছে।
নিহত সোবহানের মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
(ঢাকাটাইমস/০৭জুন/এসএ)