উগ্রবাদ প্রতিরোধে আলেম সমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: এটিইউ প্রধান

প্রকাশ | ০৭ জুন ২০২৩, ২২:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে আলেম সমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বাংলাদেশ পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ শাখা এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এস এম রুহুল আমিন। বুধবার এটিইউ আয়োজিত ‘উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সহিংস চরম পন্থা প্রতিরোধে আলেম-ওলামা ও তালিবুল ইলমগনের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় বরেণ্য ইসলামী ব্যাক্তিত্ব, শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্রান্ড ইমাম শাইখুল ইসলাম আল্লামা মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, আলেম ওলামা ও তালিবুল ইলমরা উপস্থিত ছিলেন।

অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এস এম রুহুল আমিন বলেন, এন্টি টেররিজম ইউনিট আয়োজিত আজকের এই দিনব্যাপী কর্মশালায় উদ্বোধক হিসেবে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে আলেম সমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের প্রধানমন্ত্রী উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ইমাম ও আলেম সমাজের ভূমিকা রাখার বিষয়ে সবসময়ই বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান বলেন, আপনারা জানেন, জঙ্গিবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স। আপনাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও বাংলাদেশ  পুলিশের নানামুখী তৎপরতায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ অসামান্য সফলতা অর্জন করেছে। আজ বিশ্বের অনেক দেশ জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করে। এই সফলতার পেছনে আলেম সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।

অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এস এম রুহুল আমিন বলেন, দু:খের বিষয় একটি মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মানুষের ধর্মীয় সংবেদনশীলতাকে পুঁজি করে উগ্রবাদকে ধর্মীয়করণের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এতে ইসলাম সম্পর্কে ভিন্নধর্মী মানুষের কাছে ভুল বার্তা যায়। আপনারা জানেন, উগ্রবাদ বিস্তারে কুরআন, হাদিস ও ইসলাম ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা ব্যবহৃত হচ্ছে।

এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান বলেন,  আপনাদের মাধ্যমে মানুষকে আরো সচেতন করতে এবং উগ্রবাদ বিস্তার রোধে এন্টি টেররিজম ইউনিট কীভাবে আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে আপনাদের মূল্যবান মতামত নেওয়ার জন্য আজকের এই আয়োজন। আমি মনে করি জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে এ ধরনের কর্মশালা অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এই উদ্যোগের জন্য আমি এন্টি টেররিজম ইউনিটকে সাধুবাদ জানাই। আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই সম্মানিত আলেম-ওলামা ও তালিবুল ইলমগণকে, যারা কষ্ট করে আজকের এই অনুষ্ঠানে এসেছেন। 

অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এস এম রুহুল আমিন বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এই কর্মশালা উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ভূমিকা নিরূপনে সহায়ক হবে। এছাড়া জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিস্তার রোধে আপনাদের পরামর্শ বা মতামত এটিইউ'র উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ বিরোধী গবেষণা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে যা সার্বিকভাবে বাংলাদেশ পুলিশের উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সহিংস চরম পন্থা বিরোধী কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী ও বেগবান করবে।

(ঢাকাটাইমস/০৭জুন/এএ/কেএম)