অনিয়মিত পিরিয়ডস হৃদরোগসহ বাড়ায় নানা রোগের ঝুঁকি! করণীয় কী?

প্রকাশ | ০৯ জুন ২০২৩, ০৮:৫৭

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

অধিকাংশ মেয়েরাই এখন অনিয়মিত পিরিয়ডসের সমস্যায় ভোগেন। যদি প্রত্যেক মাসে পিরিয়ডসের মধ্যে ব্যবধান পরিবর্তিত হতে থাকে, তবে এই সমস্যা হতে পারে। গবেষণায় জানা গেছে, একজন মহিলার শরীরের প্রজনন সিস্টেম এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের মধ্যে মিল আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

তবে কেবল হার্টের ঝুঁকিই নয়, অনিয়মিত পিরিয়ডস থেকে একাধিক রোগ দেখা দিতে পারে। থাইরয়েড,পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (পিসিওএস), ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস, মেজাজ খিটখিটে, অস্বস্তি বোধ, মাথাব্যথা, ক্লান্তি- এসবই অনিয়মিত পিরিয়ডসের কারণ।

গবেষণা আরও বলছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার সম্ভাবনা কম। অন্য একটি গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। বলা হচ্ছে, অনিয়মিত পিরিয়ডস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন মহিলাদের এই সমস্যা নিয়ে একটি জার্নাল বের করেছে। তারা ইউকে বায়োব্যাংকের প্রায় ৫৮ হাজার মহিলাদের পিরিয়ডস সংক্রান্ত সমস্যা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে একটি তালিকা বের করে। সেই তালিকায় মহিলাদের গড় বয়স ছিল ৪৬ বছর। যাদের কোনো রকম হার্টের সমস্যা ছিল না।

তবে সেই পরীক্ষায় এটাও দেখা যায়, যেসব মহিলাদের পিরিয়ডস ২১ দিনের থেকে আগে এবং ৩৫ দিনের অনেক পর হয় তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে প্রায় ১৯ শতাংশ।

তবে এই গবেষণাটি প্রথম নয়। এর আগেও অনেক গবেষণায় অনিয়মিত পিরিয়ডসের জন্য হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়েছে, তা দেখা গেছে। সাধারণত কিছু ক্ষেত্রে এমনিতেই অনিয়মিত পিরিয়ডস হতে পারে। তাতে ভয়ের কিছু নেই। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনিয়মিত পিরিয়ডসে সমস্যা বাড়তে থাকে।

আগে থেকে এখন পর্যন্ত অনেক মেয়েই পিরিয়ডসের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চান না। তাই খুব বেশি অনিয়মিত পিরিয়ডস হলে বা কোনো কিছু অস্বাভাবিক মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে একজন গাইনিকোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার।

অনিয়মিত পিরিয়ডসের ফলে পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম সমস্যা দেখা দিতে পারে। পিসিওএস একটি হরমোনের সমস্যা। ইদানিং যা ৮০ শতাংশ মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়। এই সমস্যার ফলে ওভারির চারপাশে সিস্ট জমা হয়। পরবর্তীকালে এই সমস্যা প্রেগেনেন্সিতে অসুবিধার মুখে ফেলতে পারে।

তাই অনিয়মিত পিরিয়ডস সমস্যা হলে কফি, অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় থেকে এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়া ফাস্ট ফুড না খাওয়াই ভালো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, পিরিয়ডস অনিয়মিত হলে অবহেলা না করে অবশ্যই একজন ভালো গাইনি বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে, চিকিৎসা নিতে হবে। তাতেই কমবে ঝুঁকি।

(ঢাকাটাইমস/৯জুন/এজে)