ভূঞাপুরে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
প্রকাশ | ০৯ জুন ২০২৩, ১৫:০০

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নৈশপ্রহরী (নিরাপত্তাকর্মী) ও আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতিসহ মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার আকালু চর কয়েড়া দাখিল মাদরাসার সুপার ছানোয়ারের বিরুদ্ধে। ফলে নিয়োগ পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন আবেদনকারীরা।
জানা যায়, ২০২০ সালে নৈশ প্রহরী (নিরাপত্তাকর্মী) ও আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে সময় প্রায় ১১ জন ওই দুই পদে আবেদন করেন। পরে করোনার অজুহাতে বিজ্ঞপ্তিটি অকার্যকর হয়ে যায়। ২০২১ সালে ফের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং এতে পূর্বের আবেদকারীদের আবেদন করতে হবে না মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তীতে আবারও করোনাসহ নানা জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে চলতি বছরে নতুন করে ওই দুই পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পূর্বে আবেদনকারীদের বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি। এতে করে আগের আবেদনকারীরা নিয়োগ পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আবেদনকারীরা বলেন, মাদরাসার সুপার ও কমিটির কতিপয় সদস্যদের যোগসাজশে একাধিবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরে তৃতীয় দফায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পূর্বের আবেদকারীদের বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি। অর্থের বিনিময়ে স্বজনদের নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
ভুক্তভোগী জানান, চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার নিকট থেকে পাঁচ লাখ টাকা উৎকোচ নেয় কমিটির এক প্রভাবশালী সদস্য, যা সভাপতি, সুপারসহ কমিটির একাধিক সদস্য অবহিত আছে। কিন্তু এখন তারা বলছে, আপনার প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া সম্ভব হবে না।
এ ব্যাপারে মাদরাসার সুপার ছানোয়ার হোসেন বলেন, কয়েক বছর আগে দুই বার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আয়া ও নৈশপ্রহরী পদে ১১ জন আবেদন করে। সে সময় করোনার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ সম্পূর্ণ না করতে পারেনি। পরে চলতি বছরে নতুন করে আবারও তৃতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এতে নতুন করে আবারও ওই পদে আবেদন করে চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থীরা। সেই আবেদনগুলো যাচাই-বাচাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে কোনো অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি বা অর্থ বিনিময় বিষয়ে যেসব আবেদনকারীরা এমন করেছে সেটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
(ঢাকাটাইমস/০৯জুন/এসএ)