মাধবপুরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের রমরমা ব্যবসা
প্রকাশ | ০৯ জুন ২০২৩, ১৫:২২
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের রমরমা ব্যবসা। উপজেলার পৌর শহরসহ ছোট-বড় বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানে লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়াই চলছে এ ব্যবসা। সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রশাসনের চোখের সামনেই প্রতিটি বাজারেই চলছে এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠা দোকানগুলোয় খোলামেলাভাবে সিলিন্ডারের গ্যাস বিক্রি করায় চিত্র। তাদের কাছে নেই ফায়ার সার্ভিসের অনুমতিপত্র। অনুমতিপত্র না থাকলেও তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর। ব্যবসায়ীদের বাসা বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ করে রাখা হয়েছে। পৌরসভার সদরে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির বেশিরভাগ দোকানে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমতিপত্র নেই। চরম ঝুঁকিতে চলা ফেরা করতে হচ্ছে ক্রেতা, পথচারী ও জনসাধারণসহ শিক্ষার্থীদের।
উপজেলার বিভিন্ন চায়ের দোকান, মুদি দোকান, মনোহরি, রড-সিমেন্ট ও ইলেকট্রনিক্সসহ প্রায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্স ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণভাবে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলার মনতলা, ধর্মঘর, নোয়াপাড়া, হরষপুর, তুলশিপুর, চৌমুহনী, শাহাপুর, তেলিয়াপাড়া, ছাতিয়ান বাজারসহ আরও কিছু বাজারে অনুমোদন ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণভাবে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও পৌর শহরের বিভিন্ন মোড়ে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবসা চলছে অহরহ। এ দোকানগুলোয় নেই প্রাথমিক বিপর্যয় রক্ষায় ড্রাই পাউডার ও সিও ২ সরঞ্জামসহ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। এতে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ বৈধ গ্যাসের ডিলাররা। গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ফলে পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তাদের আশঙ্কা যেকোন সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
ধর্মঘর ইউনিয়নের হরষপুর চক রাজেন্দ্রপুর গ্রামে আবাসিক এলাকায় বিএম গ্যাস সিলিন্ডারের ডিলার মেসার্স এ মালেক স্টোর অ্যান্ড গ্যাস হাউসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাসা বাড়ির ভেতরের যত্রতত্র ফেলে রেখেছে গ্যাস সিলিন্ডারগুলো। নেই কোনো অগ্নি নির্বাপক এর সুব্যবস্থা। পাশের দোকান বাসাবাড়ি রয়েছে ঝুঁকিতে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মালেক স্টোরের মালিক শাহ আলম জানান, মালামালগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে বাসাবাড়িতে গুদামজাত করে রাখা হয়েছে।
মাধবপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন মাস্টার মনোত্বোষ মল্লিক জানান, এ ধরনের পণ্য বিক্রি করতে হলে অনুমতিপত্র নিতে হবে।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহসান জানান, অবৈধ অনুমোদনহীনদের প্রতি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/০৯জুন/এসএ)