১০ বছর পর ঢাকায় সমাবেশ

জামায়াতের দাবি না মানলে রাজপথ উত্তপ্ত হবে: ডা. তাহের

প্রকাশ | ১০ জুন ২০২৩, ১৭:২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

সংবিধান পরিবর্তন করে জনগণের দাবি মেনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে জামায়াত ইসলামী। দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান নির্বাচন। আর সেটা হতে হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। সেটা করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই করতে হবে।’ দলটির দাবি না মানলে রাজপথের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।

 

দীর্ঘ এক দশক পর রাজধানীতে ইনডোরে (ঘরোয়াভাবে) সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতা ও ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত। নানা নাটকীয়তার পর গত শুক্রবার রাতে কিছু মৌখিক শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

 

এরপর শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কুরআন তিলাওয়াত ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের মাধ্যমে এই সমাবেশ শুরু হয়। ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাইরের খোলা জায়গায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং ফুটপাতে অসংখ্য নেতাকর্মী অবস্থান নেন। একপর্যায়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি মূল সড়কে গিয়ে ঠেকে। ফলে মৎস্যভবন ক্রসিং থেকে শাহবাগ অভিমুখী সড়কটিতে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। বক্তব্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ইসলামী সংগীত পরিবেশন ও কবিতা আবৃত্তি করা হয়। সমাবেশ ঘিরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের চারপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিল।

 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। এসময় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়। আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মুসা, সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণের নায়েবে আমীর ড. এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীর আ. জব্বার, ঢাকা মহানগরীর উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন, ড. আবদুল মান্নান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলামসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াত ও শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করে জনগণের দাবি মেনে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান নির্বাচন। সেটা হতে হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। সেটা করতে হলে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে করতে হবে। কিন্তু এরা দিনের ভোট রাতে করে। লজ্জাতো ঈমানের অঙ্গ। কিছুটা তো লজ্জা থাকা উচিত নেতাদের। সুতরাং বলবো, ২০১৪ ও ২০১৮ গেছে যাক। এবার ২০২৪ আর সেভাবে যাবে না। যদি আওয়ামী লীগ বুঝে তাহলে আসুন আলোচনা করুন। এবারের নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সে দাবি আদায়ে যা করা দরকার আমরা সেই আন্দোলন করবো ইনশাআল্লাহ।

 

তিনি বলেন, আজকে দেশের শাসক ও মানুষ সৎ হলে সোনার দেশ হতাম। কিন্তু সেটা করতে পারিনি। আপনারা না পারলে আমাদেরকে সহযোগিতা করুন। তাহলেই দেশের পরিবর্তন হবে। সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

 

সমাবেশের অনুমতি দেওয়া ও শেষ পর্যন্ত সহায়তার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জামায়াত কখনো বিশৃঙ্খলা করেনি, করে না এবং করবে না। যদি হয় সেটা কেউ বাইরে থেকে করতে পারে, স্যাবোটেজ। জামায়াতে ইসলামী সন্ত্রাস, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা এবং হামলায় বিশ্বাস করে না। জামায়াত দেশের তৃতীয় বৃহত্তম সুশৃঙ্খল আদর্শিক দল। রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা থাকেন তাদেরকে জামায়াত সম্পর্কে জানতে হবে। আজকে যারা সোনার বাংলা গড়তে ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা ব্যর্থ। সেখানে সোনার বাংলাদেশ ও সোনার নাগরিক তৈরির কাজ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির। যে কারণে কোনো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ইভটিজিং, মাদক, বা নারী কেলেংকারীর ঘটনায় ছাত্রশিবিরের কোনো নেতাকর্মীর নাম আসেনা। কারণ জামায়াত ও শিবির মডেল সোনার মানুষ তৈরি করে।

 

ডা. তাহের দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন। সেইসঙ্গে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তা না হলে জামায়াত মুক্ত করবে এবং পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হবে। একইসঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনার দাবি এবং একটি নৈতিকতাসম্পন্ন ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ তৈরির জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

 

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, যারা আমাদের সমাবেশের অনুমতি নিয়ে টালবাহানা করছে তারা জমায়াতের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। বরং তাদেরই ক্ষতি হয়েছে। নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে আমরা মুক্তি দিতে বাধ্য করব ইনশাআল্লাহ। আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েমের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র হত্যা করেছিলো। তাদের কাছে গণতন্ত্র কখনোই নিরাপদ ছিলো না। কয়লা ধুলে যেমন ময়লা যায় না। তেমনি ক্ষমতায় গেলেও আওয়ামী লীগ সাধু হয় না।

 

জামায়াতের এই নেতা বলেন, সব দল যদি রাজপথে সভা-সমাবেশ করতে পারে জামায়াতে ইসলামীও করবে। চার দেয়ালের মধ্যে আটকে রেখেছেন কেনো? অধিকার আদায় করতে হলে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই করতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশ করবো। বিশৃঙ্খলা জামায়াতের ঐতিহ্যে নেই। এই সরকার জনগণকে ভয় পেয়ে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে গেছে। তারা মুখে বলে গণতন্ত্র আর ক্ষমতায় গেসে বাকশাল কায়েম করে মুখ চেপে ধরে।

হামিদুর রহমান বলেন, আজকে সরকারের সময় শেষ। কয়েকমাস বাকি আছে। অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকার বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ আপনাদের অধীনে কোনোদিন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ যত সুন্দর কথা বলুক তাদেরকে বিশ্বাস করা যায় না। জামায়াতে ইসলামী আবিষ্কৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলা সঠিক। অতীতে তিনটি জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। সুতরাং আওয়ামী লীগের অধীনে আর নির্বাচন নয়।

 

মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, যারা আমাদের নিষিদ্ধ ও অবৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে অভিহিত করেছেন তারাই আজকে আমাদের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। কই আমাদের সমাবেশ থেকেতো একটি ঢিল ছুড়তে দেখা যায়নি। তাহলে জামায়াতের বিরুদ্ধে সংঘাতের অভিযোগ কেনো? সংঘাত বিশৃঙ্খলার অভিযোগতো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রয়েছে।

 

আবদুল হালিম বলেন, জামায়াত একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের নাম। দেশের ১১টি জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে আমরা চারটিতে অংশগ্রহণ করেনি। বাকি সব সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন এবং সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সেই দলকে আপনারা বলেন অবৈধ? আমি বলবো আমাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বাধা দিবেন না। বাধা দিলে জাতির চির দুশমন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন।

 

জামায়াতের এই নেতা বলেন, আমাদের অনেক নেতাকে আওয়ামী লীগ সরকার ফাঁসি কার্যকর করেছে। আজকের প্রধানমন্ত্রী একসময় বলেছিলেন আমি চিরদিনের জন্য কেয়ারটেকার সরকার চাই। আজকে তিনি কি কথা রেখেছেন? সুতরাং আমাদের আন্দোলন থামানো যায়নি যাবে না। কেয়ারটেকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তিনি অবিলম্বে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান, অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, এটিএম আজহারুল ইসলাম সহ কারাবন্দী সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানান তিনি।

 

মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রথমে অনুমতি দেয়নি। পরে তারা নিবন্ধন না থাকার অযুহাত দিতে শুরু করে। জামায়াততো ২০০৮ সালে নিবন্ধন পেয়েছে। পরে নিবন্ধন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এর আগে কারও বলার নেই জামায়াত অনিবন্ধিত দল। নির্বাচন কমিশনকে জবাব দিতে হবে তারা কোন আইনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছেন? অবিলম্বে তাদেরকে ওয়েবসাইট সংশোধন করতে হবে।

 

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের ৯৬ হাজার নেতাকর্মীকে রিমান্ডে নির্যাতন চালিয়েছে। ৫০০০ এর বেশি নেতাকর্মীকে নির্যাতনে পঙ্গু করা হয়েছে। দেশে আদালত আছে আইনের শাসন নেই। আমরা গণতন্ত্র ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। কিন্তু আমাদেরকে নিয়ে নাটক করবেন না। আমরা কোনো ভিসানীতি নিয়ে মাঠে নামি নাই। কারণ জামায়াতে ইসলামী চলে কুরআনের নীতিতে। ভিসানীতি তো শেখ হাসিনার জন্য। আমরা জোর করে কিছু করতে চাইলে কারো শক্তি নেই যে সেটা বন্ধ করতে পারে!

 

শিবিরের সেক্রেটারি বলেন, ক্যাম্পাসগুলোতে শিবিরের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানস গ্রেপ্তারকৃত সব নেতাকর্মীর মুক্তি ও ছাত্রশিবিরের গুম হওয়া নেতা ওয়ালিউল্লাহ ও মুকাদ্দাসকে ফিরিয়ে দিতে হবে। আগামীতে জাতীয় সংকটে ও ইস্যুতে ছাত্রশিবির রাজপথে থাকবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

 

অন্য বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই কুরআন ও ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের ১৪ হাজার নেতাকর্মী জেলহাজতে পাঠিয়েছে। অবিলম্বে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে। ব্রিগেডিয়ার আমান আযমী, ব্যারিস্টার আরমানকে ফিরিয়ে দিতে হবে। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সাবেক এমপি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মী এবং আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। কারণ এই সরকার জাতি ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে। আগামীতে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ও সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।

 

সভাপতির বক্তব্যে নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জামায়াত সুশৃঙ্খল ও সাংবিধানিক সংগঠন।

 

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য হামিদূর রহমান আযাদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুর রহমান মূসা, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, সহ: সেক্রেটারী মাওলানা মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী দেলওয়ার হোসাইন, কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারী আতিকুর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম সহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

 

ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তন ও ইনস্টিটিউশনের চত্বরে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাইরের মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় এবং বৃষ্টিতে ভিজে নেতাকর্মী রাস্তায় অবস্থান নেন।

 

(ঢাকাটাইমস/১০জুন/জেবি/কেএম)