ঝালকাঠির রাজাপুরে ইভটিজিংয়ের শিকার মাদরাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা
প্রকাশ | ১৪ জুন ২০২৩, ১৬:৪৭
ঝালকাঠির রাজাপুরে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে অভিমানে কেয়া আক্তার (১৫) নামে ৯ম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চল্লিশ কাহনিয়া এলাকায় কেয়ার ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কেয়া আক্তার ওই এলাকায় মজিদ খানের মেয়ে এবং স্থানীয় চল্লিশ কাহনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। কেয়ার মৃত্যু নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেয়া আক্তারকে ঘরে রেখে তার মা, বাবা ও বোন বাড়ির বাইরে কাজে চলে যায়। কেয়ার মা ও ছোটো বোন বাড়িতে ফিরে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে কেয়াকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে পাটাতনের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে ঝুলে থাকতে দেখতে পায়। পরে কেয়ার মা কেয়ার ঝুলন্ত দেহ নিচে নামিয়ে আনে।
নিহতের মা নাসিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত দুই দিন আগে আমার মেয়ে উত্তমপুর বাজার থেকে তার মাদরাসায় কাজের জন্য ছবি তুলে তার সহপাঠীর সঙ্গে চল্লিশ কাহনিয়া নদীর পাড়ের রাস্তা ধরে বাড়িতে আসছিল। পথিমধ্যে পার্শ্ববর্তী মোল্লা বাড়ির মিজান মোল্লা আমার মেয়ের হাত ধরে টানাটানি করে ইভটিজিং করে। মিজান মোল্লা একই এলাকার খলিল মোল্লার ছেলে। এর পর থেকেই কেয়ার মানসিক অবস্থা খারাপ ছিল। ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েও কেয়াকে নানা মানুষের নানা সমালোচনা শুনতে হয়েছে। এমনকি তার বাবাও তাকে গালমন্দ করে। আর সেই কারণেই অভিমান করে আমার মেয়ে কেয়া আত্মহত্যা করেছে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানায়, কেয়া নামের এক মাদরাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি মর্গে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/এআর)