আ.লীগের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ২২ জুন ২০২৩, ১২:৪৯ | আপডেট: ২২ জুন ২০২৩, ১৫:০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

আওয়ামী লীগের আমলে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তা প্রমাণিত বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দলটির সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। যেসব দেশ বা যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলে তারা এসে দেখে যাক।’

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে তিনি একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করতে হয় না। যখনই স্বাধীনভাবে নির্বাচন হয়েছে, জনগণের বিশাল পরিমাণ ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু ভোটের প্রমাণ সিটি নির্বাচন।’

‘আওয়ামী লীগের আমলে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় তা প্রমাণিত। এ নিয়ে আর প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। যে সব দেশ বা যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলে তারা এসে দেখে যাক।’

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং উপনির্বাচনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ হতে পারে এবং এর বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে পারে না।’

প্রধানমন্ত্রী বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মেয়র নির্বাচিত করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান।

যেসব দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানান। যেখানে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট প্রদান করেছেন।

তিনি বলেন, ‘কিন্তু বিএনপি শাসনামলে উপ-নির্বাচনে ভোট দিতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি কারণ, তারা তাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে ভোট লুট করেছিল।’ এসময় তিনি বিএনপি আমলে তেজগাঁও, মিরপুর ও মাগুরার উপনির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ভোট ডাকাতির মাধ্যমে তারা জন্ম নিয়েছে এবং এটাই তাদের অভ্যাস।’

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটিই একমাত্র সংগঠন, যারা মানুষের কথা বলে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেই জনগনের কল্যাণ হয়েছে। আর অন্যরা জনগণের ভোটাধিকার, মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে।’

দেশের জনগণ বিএনপিকে ভোট দেবে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসীদের দল। কানাডার আদালত এ রায় দিয়েছে। বিএনপির ২০১৪ ও ১৮ সালের অগ্নিসন্ত্রাস মানুষ ভুলে যায়নি।’

‘জনগণ কখনই সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপিকে ভোট দেয় না। কারণ, তাদের জনগণের সেবা এবং উন্নতির জন্য কাজ করার কোন আগ্রহই নেই বরং বড় ধরনের দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের আখের গোছানোর কাজেই ব্যস্ত ছিল।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘দেশের জনগণের প্রতি বিএনপির কোনো দায় নেই। তাদের আমলে খাম্বা ছিল, বিদ্যুৎ ছিল না। খুনি সন্ত্রাসী দল বিএনপির বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’

সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং দলের কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ।

(ঢাকাটাইমস/২২জুন/ডিএম)