৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে মামলার জট কমবে: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০২৩, ১৬:৪৪ | আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩, ১৬:৫৮

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘করোনার কারণে আমাদের মামলা নিষ্পত্তির কাজ অনেকটাই ধীরে চলছিল। তবে গত বছর মামলা নিষ্পত্তির হার অনেকটাই বেড়ে যায়। আমরা যদি মামলা নিষ্পত্তির হার ১২৫ থেকে ১৩০ ভাগ করতে পারি তাহলে আগামী ৫/৬ বছরে মামলার জট সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে। এতে করে বিচারপ্রার্থীরা অনেকটা সুফল পাবে।’

সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আমাদের কিছু জনবল সংকটও আছে। গত বছর আমরা ১০২ জন নতুন কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছি। এবছরও একশ জনের মতো কর্মকর্তা নেয়া হবে। তাহলে আমাদের জনবলের ঘাটতিটা পূরণ হয়ে যাবে।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশে হচ্ছে স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায় তার ব্যবস্থা করা। লাখ লাখ লোক দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আদালতে আসেন। তারা যাতে স্বস্থিতে বসতে পারেন, একটি পানি খেতে পারেন, টয়লেট ব্যবহার করতে পারেন এমন কোনো ব্যবস্থা নেই। আমি বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করি। তিনি তৎক্ষণাৎ ৬৪ জেলায় এই ন্যায়কুঞ্জের জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছেন।’

অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রইস উদ্দিন, জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, জেলা ও দায়রা জজ জয়শ্রী সমাদ্দার, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শারমিন আক্তারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী একটি বকুল গাছ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রইস উদ্দিন একটি আমলকি গাছের চারা রোপন করেন।

৬৪টি জেলায় মোট ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পর্যায়ক্রমে এই ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করা হবে। এ ন্যায় কুঞ্জে ২টি ওয়াশ রুম, ১টি মাতৃদুদ্ধ কর্নার, ১টি ক্যান্টিন ও ফ্যানের ব্যবস্থাসহ ৮০ থেকে ১০০ জন বিশ্রাম নিতে পারবে।

 

(ঢাকাটাইমস/২৬জুন/এআর)