ঝালকাঠিতে কলেজছাত্রী মুক্তা হত্যার দায়ে প্রেমিকের ফাঁসি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৩, ১৫:২০ | প্রকাশিত : ০৪ জুলাই ২০২৩, ১৪:৫৬

ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী বেনজির জাহান মুক্তাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মো. সোহাগ মীর (২৮) নামে এক যুবককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডেরে আদেশ দিয়েছেন ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে সোহাগ মীরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জেলা দায়রা জজ মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুস্তম আলী খান রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ মীর পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়নের আনিপাড়া গ্রামের ছোবাহান মীরের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করতেন।

আদালতে মামলার নথি পর্যবেক্ষণ ও পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মান্নান রসুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বাড়ইকরণ গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদারে মেয়ে ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী বেনজীর জাহান মুক্তা (১৯) এর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় সোহাগ মীরের।

কিছুদিন সম্পর্ক চলার পর তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর দেড়টার দিকে সোহাগ ঢাকা থেকে এসে মোবাইল ফোনে মুক্তাকে তাদের বাড়ির কাছে কাপড়িয়া বাড়ির নতুন রাস্তার কাছে ডেকে আনে দেখা করার জন্য। দেখা করা জন্য মুক্তা ঘটনাস্থলে এলে কথাবার্তা বলার একপর্যায় সোহাগ মীর চাকু দিয়ে মুক্তার গলায় একাধিক আঘাত করে। মুক্তা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সোহাগ পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা মুক্তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার দিন রাতে নিহত মুক্তার বাবা মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার বাদী হয়ে নলছিটি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তিনদিন পর ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ নলছিটি থানা পুলিশ ঝালকাঠি ডিবি পুলিশের সহায়তায় পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার চাকমাইয়া গ্রামের ফুপু বাড়ি থেকে সোহাগ মীরকে গ্রেপ্তার করে নলছিটি নিয়ে আসে।

আরও পড়ুন: ঘুমন্ত স্বামীর ওপর গরম পানি ঢাললেন দ্বিতীয় স্ত্রী

পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি সোহাগ মীরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ২০২০ সালের ৫ মার্চ নলছিটি থানার পরিদর্শক আব্দুল হালিম তালুকদার বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় সোহাগ মীরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এলে ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। ৫৩ কার্য দিবসে ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. ওয়ালিউল ইসলাম রায় ঘোষণা করেন।

(ঢাকাটাইমস/০৪জুলাই/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :