সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের কিছু বাড়িঘর প্লাবিত, ভয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৭ পরিবার

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২৩, ১৪:২৯ | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৩, ১৪:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ

গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, ছাতক, তাহিরপুর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু বাড়িঘরে পানি উঠেছে। বন্যার ভয়ে সুনামগঞ্জ শহরের সরকারি কলেজ, ছাতক ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৭টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।

তবে সীমান্তের ওপারের মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে গেল ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উদ্বেগজনকভাবে বাড়েনি পানি। 
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সকলের মাথায় কাজ করছে গেল বছর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার দুর্ভোগের স্মৃতি। তাই পানি যতটা না বাড়ছে তার চেয়ে বেশি আতঙ্কে আছে মানুষ। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অতিবৃষ্টি ও গেল প্রায় পাঁচ দিনের পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ, ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও মধ্যনগরের কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। ছাতক পৌর এলাকার ইসলামপুর ও নোয়ারাই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের চলাচল সড়ক ও কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। পানিতে ডুবে আছে তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের ১শ মিটার কৈয়ারকান্দা ও দূর্ঘাপুর এলাকার নিন্মাঅঞ্চল। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাহাড়ি ঢলে দোয়ারাবাজারের সিলাই নদীর রাবার ড্যামের উজানের বামতীরের বাঁধ ভেঙে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এই উপজেলার বড়বন্দ, মাইজখলা, শরীফপুর এলাকার ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ওই এলাকার কিছু প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষেও পানি উঠেছে।

এছাড়াও সুনামগঞ্জ শহরের কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা এবং শহরতলির কোরবাননগর ও মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে, সুনামগঞ্জ শহরের সরকারি কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে গৃহপালিত প্রাণিসহ ২৮ পরিবার এসে আশ্রয় নিয়েছেন।

ভারতে আসাম চেরাপুঞ্জিতে গেল ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাহাড়ি ঢল কম নেমেছে বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।

তিনি আরও জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৫০, ছাতকে ৪৭ ও দিরাইয়ে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার এবং ছাতকের সুরমা নদীর পানি ১৩০সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জানান, সুনামগঞ্জ শহরের সরকারি কলেজ, ছাতক ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে ভয়ে ৩৭টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। পানি না বাড়লে সবাই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাবে।

(ঢাকাটাইমস/০৫জুলাই/এসএ)