সমাবেশ করতে ডিএমপির ২৩ শর্তে যা আছে

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০২৩, ০৯:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে শর্তসাপেক্ষে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার (১২ জুলাই) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিএনপিকে সমাবেশ করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডিএমপির সদরদপ্তর থেকে দেওয়া এক চিঠিতে ২৩টি শর্তসাপেক্ষে সমাবেশ করার এই অনুমতি দেওয়া হয়।

 

শর্তগুলো হলো-

১. সমাবেশের স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রের শর্তগুলো যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমতি পাওয়া স্থানেই সমাবেশের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্তসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে।

৫. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের চারদিকে উন্নত রেজুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।

৬. সমাবেশস্থলে আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৮. শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

৯. অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।

১০. রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।

১১. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক ব্যবহার করা যাবে না।

১২. এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য দেওয়া বা প্রচার করা যাবে না যাতে ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে।

১৩. মঞ্চকে সমাবেশ কার্যক্রম ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

১৪. লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য সমাবেশ শুরুর দুই ঘণ্টা আগে সমাবেশস্থলে আসতে পারবে।

১৫. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

১৬. মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

১৭. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

১৮. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ বা বক্তব্য দেওয়া যাবে না।

১৯. উসকানিমূলক বক্তব্য বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

২০. ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি বা রড ব্যবহার করা যাবে না।

২১. আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যাবে না।

২২. উল্লেখিত শর্ত পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে সমাবেশের অনুমতির আদেশ বাতিল হবে।

২৩. কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই অনুমতির আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।

(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/কেএম)