দুমাস ধরে নেই ইউএনও, অতিরিক্ত কর্মকর্তা দিয়ে চলছে মধ্যনগর উপজেলা

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২৩, ১১:০১ | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৩, ১২:১২

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানাকে উপজেলার স্বীকৃতি দিয়ে ২০২২ সালের ১৯ জুলাই প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হলেও দু মাস ধরে সেখানে নেই নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। ইউএনও নাহিদ হাসান খানকে গত ২৮ মে বদলির পর থেকে পদটি শূন্য রয়েছে। 

শুধু তাই নয়, এ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদও শুরু থেকেই শূন্য। অতিরিক্ত কর্মকর্তা দিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার ফলে প্রত্যাশিত সেবার সুফল ভোগ করতে পারছেন না উপজেলাবাসী। 

জানা যায়, জনগণের দাবির মুখে চারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও নিজস্ব ভবন তৈরি করা হয়নি। উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মধ্যনগর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলা অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

উপজেলার ২৩টি দপ্তরের ২১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিপরীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন উপসহকারী প্রকৌশলী, তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীসহ মাত্র নয়জন দায়িত্ব পালন করছেন। 

এছাড়া র্ধমপাশা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সমবায় কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা মধ্যনগর উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। পার্শ্ববর্তী তাহিরপুর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকেও মধ্যনগরে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

অপরদিকে গত ২৮ মে মধ্যনগর উপজেলার ইউএনও নাহিদ হাসান খানকে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বদলি করার পর থেকে ধর্মপাশার ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকার এ উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, হাওর পাড়ের মানুষের চিকিৎসা, প্রশাসনিক সেবাসহ বিভিন্ন দুর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য মধ্যনগর থানাকে উপজেলায় উন্নীতকরণ করা হয়। কিন্তু মুক্তি আমাদের মেলেনি। উপজেলায় জনবল নিয়োগ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম না থাকায় সেই আগের দুর্ভোগের মধ্যেই আছি।

লায়েছ ভুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রভাষক মামুন মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, উপজেলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলেও মধ্যনগর উপজেলাবাসী তাদের কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছে না। জনবল নিয়োগ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম না থাকায় এখনো দাপ্তরিক কাজে ধর্মপাশা উপজেলায় যেতে হয়।

মধ্যনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জীব রঞ্জন তালুকদার টিটু ঢাকা টাইমসকে বলেন, মধ্যনগর উপজেলার স্বীকৃতি পেলেও জনবল নিয়োগ, প্রশাসনিক ভবন ও ইউএনও না থাকায় এখনো মধ্যনগরের জনগণকে ধর্মপাশা উপজেলার ওপর নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। উপজেলার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার জনগণ।

আরও পড়ুন: বগুড়ায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৪ জনের

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ইউএনও পদায়নের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত প্রদায়নের ব্যবস্থা করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/এসএম)