মাদারীপুরে পিটিয়ে বৃদ্ধার হাত ভাঙলেন এসআই: মামলা দায়ের, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০২৩, ১৭:০৮

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মাদারীপুরে বৃদ্ধকে থানায় নিয়ে পিটিয়ে হাত ভাঙার অভিযোগে শিবচর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগীর করা মামলা দায়ের করলে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অভিজিৎ চৌধুরী এ আদেশ দেন।

ভুক্তভোগীর নাম আকমান মাদবর (৬০)। তিনি জেলার শিবচর উপজেলার সরকারেরচর এলাকার মৃত আলাউদ্দিন মাদবরের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী আকমান মাদবর একটি পাট কাটা মামলার ৪ নম্বর আসামি। আদালতের নির্দেশক্রমে আকমান মাদবরসহ আর চার আসামিকে গত রবিবার (৯ জুলাই) গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশের এসআই নূর মোহাম্মদ। এদের মধ্যে আকমান মাদবরকে থানার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে নিয়ে যায় নূর মোহাম্মদ। পরে তাকে অমানসিক নির্যাতন করা হয়। এতে তার বাম হাত ভেঙে যায়। পরে তাকেসহ ওই চার জনকে আদালতে পাঠানো হয়। ওই মামলার জামিনে মুক্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়।

এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে পুলিশ সদস্য নূর মোহাম্মদকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী আকমান মাদবর। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তবে মামলার বিষয় কথা বলতে রাজি হয়নি মামলার আসামিসহ জেলা পুলিশের কোনো কর্মকর্তা। তারা বিষয়টি আইনগত মোকাবেলার আশ্বাস দেন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী আকমান মাদবর বলেন, ‘পুলিশের এসআই নূর মোহাম্মদ আমাকে থানার একটি রুমে নিয়ে বেঞ্চের নিচে মাথা দিয়ে সারা শরীরে লাঠি দিয়ে পেটায়। পরে প্রস্রাব ও থুথু ফেলে আমাকে দিয়ে চাটাইছে। এক পর্যায়ে আমাকে দিয়ে কয়েকবার আব্বা ডাকায় ওই পুলিশ সদস্য। এই ঘটনা কাউকে বললে আবারো নির্যাতন চালানোর হুমকি দেন তিনি। পরে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনায় ওই নির্যাতনকারী পুলিশের সাজা দাবি করি।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন বলেন, ‘থানায় বসে কোনো আসামিকে এভাবে নির্যাতন করার আইনগত অধিকার কারো নেই। ভুক্তভোগীর করা মামলায় মহামান্য আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামীতে যাতে কোন পুলিশ এমন নির্মম অত্যাচারের কাজ করতে না পারে, সে ব্যাপারে সঠিক তদন্ত আশা করছি। আমরা ন্যায় বিচার কামনা করছি।’

অভিযোগের বিষয় অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে মাদারীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।’

(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/এআর)