জিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হলেন আহমার উজ্জামান, সেবাই যার ব্রত

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০২৩, ২৩:২৩ | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১১:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত ডিআইজি মোহা. আহমার উজ্জামানকে। বর্তমানে তিনি পুলিশের বিশেষ শাখা-এসবিতে কর্মরত আছেন। রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ পদায়ন করা হয়।

 

২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর মোহা. আহমার উজ্জামান ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) হন। এর আগে তিনি খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার ছিলেন। গতবছরের আগস্টে তিনি অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পান। এরপর তাকে এসবিতে পদায়ন করা হয়।

 

মোহা. আহমার উজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে প্রাণিবিদ্যায় এমএসসি শেষ করে ২১তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে অসীম সাহসিকতা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য তিনি 'রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে (পিপিএম)' ভূষিত হন।

 

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিজের গাড়িচালকের নামে মামলা দিয়ে নজির গড়েন ময়মনসিংহের তৎকালীন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামান। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় চালককে সর্তক করতে এ মামলা দেন এসপি। এ মামলায় ওই গাড়িচালকের লাইসেন্স জব্দ করা হয়।

 

এছাড়া পুলিশের কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যদের পোশাকে বডিওর্ন ক্যামেরা লাগান, যা যেকোনো দুর্ঘটনা, আইনশৃঙ্খলা ও বিভিন্ন অপরাধসহ আশপাশের সব দৃশ্য ধারণে এ পদক্ষেপ নেন।

 

মানবিক এসপি: ঢাকায় গৃহকর্তার নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার শিশু গৃহকর্মী নিশি আক্তারের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে আলোচিত হন ময়মনসিংহের তৎকালীন পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান। শিশুটির পর্যাপ্ত চিকিৎসার উদ্যোগ নেন তিনি। ঢাকায় ওই গৃহকর্তা ইস্ত্রি ও কাঁটা চামচ গরম করে ছ্যাঁকা এবং পেছনে হাতবেঁধে শরীরে গরম পানি ঢেলে দেওয়া হয়েছিল।

 

পুলিশি সেবায় নিশ্চিতে বিট পুলিশিং সেবা: ২০১৯ সালে ময়মনসিংহে যোগদানের পর বিট পুলিশিং কার্যক্রম জনমুখী ও জনবান্ধব করতে নিরলস কাজ করেন আহমার উজ্জামান। তিনি জেলার প্রতিটি থানার প্রত্যন্ত এলাকাতে পুলিশের নিয়মিত টহল নিশ্চিত করা, পুলিশিং কার্যক্রমে কীভাবে আরও গতি আনা যায় এসব বহুমুখী প্রন্থা বের করেন। এতে শক্তিশালী বিট পুলিশিং ভিত রচিয়িত হয়।

 

তাছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্যের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, করোনায় সাধারণ মানুষকে খাদ্য সহায়তা, মাদক-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টরালেন্সসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের কারণে কর্মক্ষেত্রে ব্যাপক সুনাম ও প্রশংসা কুড়িয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/এসএস/কেএম)