বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে হলিউডে প্রামাণ্যচিত্র

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০২৩, ১৭:২১ | আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৩, ১৭:২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে হ্যাকারদের হানা পড়ে ২০১৬ সালে। তখন প্রায় ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করতে হয় সক্ষম হয় হ্যাকাররা। কিন্তু টাইপিং মিস্টেকের কারণে তাদের সেই কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে চলে আসে। সেই গল্প নিয়েই এবার হলিউডে নির্মাণ হতে যাচ্ছে প্রামাণ্যচিত্র।

পরিচালক ড্যানিয়েল গর্ডনের ইউনিভার্সাল পিকচার্স হোম এন্টারটেইনমেন্টের আসন্ন ডকুমেন্টারি ‘বিলিয়ন ডলার হেইস্ট’ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা নিয়েই নির্মিত হতে যাচ্ছে যা আগামী ১৫ আগস্ট মুক্তি পাবে।

ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। বিলিয়ন ডলার হেইস্টে দেখানো হয়েছে, কীভাবে হ্যাকাররা সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাঙ্ক ফিনান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন (সুইফট) ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ব্যবহার করে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বাংলাদেশ অ্যাকাউন্ট থেকে আন-অফিশিয়াল হিসেব মতে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি করতে সক্ষম হয়েছিল। সুইফট মূলত সারা বিশ্বের মেসেজিং নেটওয়ার্ক ব্যাঙ্কগুলি একে অপরের মধ্যে স্থানান্তর কার্যকর করতে ব্যবহার করা হয়।

বিভিন্ন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এবং লেখক মিশা গ্লেনির সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নির্মিত বিলিয়ন ডলার হেইস্ট প্রামাণ্যচিত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাকাতিকে একটি বৃহত্তর চিত্রে শুধু একটি ডেটা পয়েন্ট হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মূলত সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সাইবার ক্রাইম কতটা পরিশীলিত এবং প্রচলিত হয়ে উঠেছে সেটিই এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

ট্রেলারে গ্লেনির দাবী, মহামারি, গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো যে ধরণের হুমকি সৃষ্টি করে, সমন্বিত সাইবার আক্রমণগুলি মানবতার জন্য একই ধরণের হুমকির সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ডাকাতি এবং কীভাবে হ্যাকাররা পরবর্তী আক্রমণে তাদের কৌশল আরও বাড়িয়ে তুলেছে সে বিষয়গুলোও ডকুমেন্টারিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

বিলিয়ন ডলার হেইস্ট ১৫ ই আগস্ট থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখা যাবে।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/এসএটি)