গোপালগঞ্জে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মেইল প্রসেসিং সেন্টার: জনবল ও পরিবহন সংকটে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছে না মানুষ
প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০২৩, ১৯:২৬ | আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৩, ১৬:৩৬

গোপালগঞ্জে ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তরের জন্য ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা হয়েছে মেইল প্রসেসিং ও লজিস্টিক সার্ভিস সেন্টার। তবে নামে মাত্র চালু হয়েছে এই মেইল প্রসেসিং সেন্টার। জনবল ও পরিবহন সংকটের কারণে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছে না গোপালগঞ্জের মানুষ। মেইল প্রসেসিং সেন্টার চালু হলে দেশ, বিদেশ, শহর ও প্রতিটি অঞ্চলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাক সেবা পৌঁছে যাবে মানুষের দোরগোড়ায়। তাই দ্রুত এই মেইল প্রসেসিং সেন্টার চালুর দাবি জানিয়েছে গোপালগঞ্জের মানুষ।
মানুষ আগের মতো চিঠি লেখে না। ডাক পিয়নের অপেক্ষায়ও থাকে না কেউ। তথ্য-প্রযুক্তির যুগে থেমে গেছে চিঠির গুরুত্ব। চিঠির যুগ শেষ হয়ে গেলেও ডাকের প্রয়োজনীয়তা ও কর্মপরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডাকের নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবার সময় এসেছে। গোপালগঞ্জ ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তরের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে মেইল প্রসেসিং ও লজিস্টিক সার্ভিস সেন্টার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সীমিত আকারে চালু করা হয় এই মেইল প্রসেসিং সেন্টার। তবে জনবল ও পরিবহন সংকটের কারনে আধুনিক এই মেইল প্রসেসিং সেন্টার চালু হয়নি আজও।
এখান থেকে দেশ ও বিদেশে দ্রুত সময়ের মধ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে চিঠি, পার্সেল, ই-কমার্স, ফরেন পার্সেল আদান প্রদান করা যাবে। প্রতিটি পার্সেল অবস্থান ভেদে মোবাইলে ম্যাসেজ বা ওয়েব সাইটে ঢুকেও তার দ্রব্যের অবস্থান জানতে পারবে গ্রাহক।
এদিকে গোপালগঞ্জে পূর্ণাঙ্গভাবে এটি চালু না হওয়ায় জেলা শহরের অধিকাংশ মানুষই জানে না এর নিয়ম-কানুন কী বা তার দ্রব্য কীভাবে আদান প্রদান করবে। ডাকঘরের এই আধুনিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গোপালগঞ্জের মানুষ। আধুনিক সেবা পেতে দ্রুত এই মেইল প্রসেসিং সেন্টার চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা। ডাকঘরে অটোমেটেড মেইল প্রসেসিং সেন্টার চালু হলে দেশের ডাক ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ মেইল প্রসেসিং সেন্টারের সহকারী (এসআরএস) মো. আবুল খায়ের জানান, আমরা ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে সীমিত আকারে এই মেইল প্রসেসিং সেন্টার চালু করছি। পরিবহন ও জনবল সংকট রয়েছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে সেবা দিতে পারবো।
(ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/এআর)