যুক্তরাষ্ট্রে সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ ঢাবি শিক্ষকের, খোঁজ মেলেনি ২০ দিনেও

প্রকাশ | ২৩ জুলাই ২০২৩, ১৭:৩৫ | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩, ১৭:৩৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে অনিক পাল- ছবি ফেসবুক থেকে

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানায় পদচারী সেতু থেকে ওয়াবশ নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমেস্ট্রি ও মলিক্যুলার বায়োলজির সহকারী অধ্যাপক অনিক পাল (৩১)।

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম লাফায়েতের পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরাল গবেষক ছিলেন অনিক। ঝাঁপ দেওয়ার ২০ দিন পার হলেও কোনো খোঁজ মেলেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষকের।

গত ৩ জুলাই ওয়াবশ নদীতে অনিক পাল ঝাঁপ দিয়েছেন বলে খবর পাওয়ার কথা জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমেস্ট্রি ও মলিক্যুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. এনামুল হক রবিবার ঢাকা টাইমসকে বলেন, এখনও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি  উপাচার্যকে অবহিত করা হয়েছে উল্লেখ করে ড. এনামুল ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এখনও ইতিবাচক কোনো খবর মেলেনি। বিশ^বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে।’

বিষয়টি উদ্বেগের জানিয়ে অধ্যাপক এনামুল বলেন, অনিক পালের বোনের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তারাও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা স্বজনদের মাধ্যমে সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। অনিকের পরিবারের সদস্যরাও উদ্বিগ্ন।

তবে অনিক পাল নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার কোনো কারণ পরিবারের সদস্যরা জানাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বায়োকেমেস্ট্রি ও মলিক্যুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এনামুল।

পশ্চিম লাফায়েত পুলিশের বরাত দিয়ে ‘দ্য লাফায়েত জার্নাল অ্যান্ড কুরিয়ার’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে, ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের লাফায়েত এলাকার জন টি. মায়ার্স পদচারী সেতু থেকে লাফ দেন অনিক।

পশ্চিম লাফায়েত পুলিশ লেফটেন্যান্ট জন এগারের বরাত দিয়ে ওই জার্নালে বলা হয়েছে, ‘নদীতে যে যুবক ঝাঁপ দিয়েছিলেন, তিনি অনিক পাল। এ বিষয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছেন।’

ওয়েস্ট লাফায়েত পুলিশ বুলেটিন জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে থাকা অফিসার প্রথমে নদীতে এক যুবককে ঝাঁপ দিতে দেখেন। এরপর উদ্ধারকর্মী ও পুলিশ সেদিন প্রায় ৯ ঘণ্টা কে-৯এস দিয়ে নদীতে এবং তীরে অনুসন্ধান চালায়। পরদিন থেকেই স্বাধীনতা দিবসের সাপ্তাহিক ছুটি পড়ে যায়। সাত দিন পর এজেন্সিগুলো নদীতে আবারও অনুসন্ধান শুরু করে, যা অব্যাহত রয়েছে। একটি এজেন্সি আটিকা থেকে পথচারী সেতু পর্যন্ত নৌকা দিয়ে নদী তল্লাশি করেছে। তবে কোনো আলামত মেলেনি।

দুই সপ্তাহ আগে জন এগার বলেছিলেন, তবে গত ৩ জুলাই প্রাথমিক অনুসন্ধানের সময় কুকুরেরা ইঙ্গিত করেছিল, কলম্বিয়া স্ট্রিটের স্প্যানের নিচে সেতুর স্তম্ভে নদীর পূর্ব দিকে লগ জ্যামে একটি মৃতদেহ থাকতে পারে। তবে কিছু পাওয়া যায়নি।

পশ্চিম লাফায়েতের পুলিশ বাংলাদেশে অনিক পালের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পুলিশ অনিককে উদ্ধার প্রচেষ্টার বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।

(ঢাকা টাইমস/২৩জুলাই/আরআর/ডিএম)