বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তা গুরুত্বসহকারে দেখা হয়: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশ | ২৬ জুলাই ২০২৩, ১৩:২৫ | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩, ১৪:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

২০১৫ সালে বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তা গুরুত্বসহকারে দেখা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। 

 

বুধবার রাজধানীর হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। 

 

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আগামী ২৯ জুলাই পবিত্র আশুরা। সারা বিশ্বে মুসলিম সম্প্রদায় অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পবিত্র আশুরা বা ১০ই মহররম পালন করে থাকে। শিয়া সম্প্রদায় আশুরা উপলক্ষে সুন্নিদের থেকে আলাদা কিছু রীতি ও নিয়মকানুন পালন করে। গত সাড়ে ৪০০ বছর ধরে শিয়া সম্প্রদায় এই ইমামবাড়া থেকে তাজিয়া মিছিল ও প্রার্থনাসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন। মূল অনুষ্ঠানটি পালন করা হবে ২৯ জুলাই। প্রতিবারই শান্তিপূর্ণভাবে এই অনুষ্ঠান পালিত হয়ে। কিন্তু ২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। ধর্মীয় উগ্রবাদী ও জঙ্গিবাদী যারা তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছিল।’


‘তার পর থেকে ডিএমপি এই অনুষ্ঠানের নিরাপত্তাটাকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে দেখে যাতে পুনরায় কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে না পারে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার প্রেক্ষাপটে আজ আমরা এখানে ঘুরে ঘুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখলাম। আমরা ইমামবাড়া এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছি। রাস্তাগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। এই এলাকার সামনে-পিছনে সাদা পোশাক ও পোশাক পরিহিত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে। এই পুরো এলাকাটা আমরা ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করাব। এছাড়া মেশিনের সাহায্যে ম্যানুয়াল সুইপিং করাব, যাতে পুনরায় কোনো দুষ্কৃতকারী এখানে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটাতে পারে।’


ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘১০ই মহররম উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বিভাগ সর্বদা সচেষ্ট থাকব। আমরা আশা করব আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ জুলাই অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে এই অনুষ্ঠান পালিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে আয়োজকদের প্রতি কিছু পরামর্শ আছে। তাজিয়া মিছিলে যেন উচ্চস্বরে ঢাকঢোল না বাজানো হয়, গায়ে চাদর ডেকে কোনো লোক যেন চলাফেরা না করে, শরীরের আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা শিশুদের জন্য দৃষ্টিকটু হয়- এসব বিষয় এড়িয়ে চলা। আয়োজকদের সঙ্গে মিটিং করে এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি। তারাও কিছু নিরাপত্তা পরামর্শ দিয়েছেন। আশা করব সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করব।’

(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/এসএস/এফএ)