কিশোর গ্যাংয়ের দুপক্ষের দ্বন্দ্ব, তরুণকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ | ২৬ জুলাই ২০২৩, ১৮:১৪ | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩, ১৮:৪২

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
নিহত তরুণের স্বজনের কান্না। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের নগরকান্দায় স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে মো. রুবেল শেখ (১৯) নামে এক তরুণকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফুলসুতি ইউনিয়নের হিয়াবলদী কাজীকান্দা গ্রামের মধ্যবর্তী হিরন খালের ব্রিজের উপর এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত রুবেল পার্শ্ববর্তী কাইচাইল ইউনিয়নের পাঁচ কাইচাইল গ্রামের মো. সালাম শেখের ছেলে। তিনি পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন।

ফুলসুতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, নিহত রুবেলের বাড়ি পার্শ্ববর্তী পাঁচ কাইচাইল গ্রামে। তবে তার নানা বাড়ি আমাদের ফুলসুতি ইউনিয়নের হিয়াবলদী গ্রামে। পাশাপাশি গ্রাম হওয়ায় মাঝে মাঝে নানা রাজা মিয়ার বাড়িতে এসে উঠতি বয়সী তরুণ ও যুবকদের সাথে আড্ডা দিত রুবেল। একপর্যায় মাদকসহ বিভিন্ন ইসুতে ওই তরুণ ও যুবকদের মধ্যে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। পরে তাদের মধ্যে মাঝে মধ্যেই দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতো বলে জানতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, এই দ্বন্দ্বের জেরধরে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে হিয়াবলদী গ্রামে এসে মো. হায়াত আলী শেখের ছেলে রনি শেখকে কুপিয়ে জখম করে রুবেল ও তার বন্ধুরা। রনি এখন নগরকান্দা হাসপাতালে ভর্তি। এদিকে রনিকে কুপিয়ে পালিয়ে যাওয়া সময় স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া দিলে রুবেল মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করার পরপরই তিনি মারা যায়।

তবে রুবেলের বাবা সালাম শেখ বলেন, আমার ছেলে হিয়াবলদী গ্রামে ঘুরতে যায়। সেখানে যাওয়ার পর ওই এলাকার উঠতি বয়সী কয়েকজন তরুণ ও যুবক আমার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি এর বিচার চাই।

নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. খালেদুর রহমান জানান, আহত রুবেলকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর রেফার্ড করার ব্যবস্থা নিতেই রুবেল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন জানান, পূর্বশত্রুতার জেরধরে হিয়াবলদী গ্রামের কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল যুবক তাদের বন্ধুদের সাথে নিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ওই হিয়াবলদি গ্রামের হায়াত শেখের পুত্র রনি শেখও কোপ খেয়ে গুরুতর আহতবস্থায় একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। রনিকে আটক অবস্থায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা  প্রক্রীয়াধীন রয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, নিহত তরুণের পিঠে ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে। তার মাথা ও কপালে লাঠি দিয়ে পেটানোর দাগ রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য জোর তৎপর রয়েছে পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/এআর)