টেকনাফে শিশুকে অপহরণ-ধর্ষণ-খুন: অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২৮ জুলাই ২০২৩, ২৩:৪৬

কক্সবাজার প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

টেকনাফের হ্নীলায় মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক মেয়ে শিশু শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে মাদ্রাসা কক্ষে ধর্ষণের পর খুন করে লাশ উলঙ্গ অবস্থায় নর্দমায় ফেলে দিয়েছে। র‌্যাব ঘাতককে গ্রেপ্তার করে হত্যাকাণ্ডের আলামত উদ্ধারের পর পুলিশে সোর্পদ করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। এই ঘটনার পর এলাকায় চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর চৌকষ একটি আভিযানিক দল হ্নীলা আল জামেয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় নুরানী বিভিাগে তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া ফারিহা জান্নাত (৯)-এর অপহরণে অভিযুক্ত মুফতি আলী আহমদের পুত্র মো. ইরফানকে (১৮) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়।

পরে ধৃত ব্যক্তির স্বীকারোক্তিতে উক্ত মাদ্রাসার নালায় মাদ্রাসা ছাত্রী ফারিহার মৃতদেহ পাওয়া যায়। বিষয়টি টেকনাফ থানা পুলিশকে জানানো হলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে র‌্যাব-পুলিশের উপস্থিতিতে ঘাতক ইরফান মেয়ে শিশুর লুকিয়ে রাখা কাপড় উদ্ধার করে দেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।

গত ২৭ জুলাই সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ছানা উল্লাহ-জেসমিন দম্পতির মেয়ে ফারিহা জান্নাতকে অপহরণকারী চক্র তুলে নিয়ে যায়। পরে মেয়ের মায়ের কাছে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি থানা পুলিশকে রাতেই লিখিতভাবে জানায়। 

এরপর র‌্যাব-পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এই পর সন্দেহভাজন ইরফানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বেরিয়ে আসে মেয়ে শিশু ফারিহা অপহরণ পরবর্তী নারকীয় ঘটনা। অপহৃত শিশুকে আল জামেয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার ২২ নম্বর কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ করার সময় চিৎকার করলে ঘাতক ক্ষুদ্ধ হয়ে শিশুকে গলাটিপে খুন করে। খুনের ক্লু নিরুদ্দেশ করার জন্য শিশুর কাপড় খুলে পলিথিনে মুড়িয়ে কাঁদার মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়।

রাতেই কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক ভারপ্রাপ্ত মেজর সৈয়দ শাফিকুল হক সংবাদ সম্মেলন করে এই লোমহর্ষক ঘটনার বিবরণ দিয়ে ঘাতক ইরফানকে আটক করে থানা পুলিশে হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তবে কী কারণে এই ধরনের লোমহর্ষক ঘটনার সূত্রপাত তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনার পর স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

(ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই/কেএম)