চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন সম্রাট, আদালতকে জানালেন আইনজীবী

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২৩, ১১:৪৩ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৩, ১২:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার আসামি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন।

সম্রাটের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চকে লিখিতভাবে এ তথ্য জানান। 

এর আগে গত ১৫ জুলাই ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট চিকিৎসার জন্য কলকাতা যান।  

এর পরদিন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির সময় সম্রাটের আইনজীবী মনসুরুল হক আদালতকে জানান, তিনি আদালতের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য কলকাতা গিয়েছেন।

এরপর সম্রাট সঠিক সময়ে দেশে ফিরেছেন কি না, তা ১ আগস্টের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেন আদালত।

গত ১ জুন সম্রাটকে দুই মাসের জন্য পাসপোর্ট নিজ জিম্মায় দিয়ে চিকিৎসা করাতে এক মাসের জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেন ঢাকার বিশেষ আদালত ৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল আলম। ওইদিন আইনজীবী আফরোজা বলেছিলেন, তার মক্কেল (সম্রাট) কিডনিসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আগেই আবেদন করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে পাসপোর্ট তার জিম্মায় দেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয় আদালতের কাছে। শুনানি শেষে আদালত বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি দেন।

এরপর গত ১৩ জুলাই জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সম্রাটকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতির আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আপিল বিভাগের রায় ফলো না করেই তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এর পর তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তাতে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।

গত বছরের ১০ এপ্রিল থেকে ১১ মের মধ্যে চার মামলায় জামিন পান সম্রাট। কারাগারে যাওয়ার ৩১ মাস পর মুক্তি পান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/০২আগস্ট/এফএ)