লোপাট ঠেকাতে ব্যাংকঋণে কড়াকড়ি আরোপ

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২৩, ২২:২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ব্যাংক ঋণ নিয়ে লোপাট-পাচারসহ নানা অপরাধ ঘটেছে ইতোমধ্যেই। ভুয়া বা জাল কাগজ তৈরি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের নজিরও রয়েছে দেশে।

এসব অপরাধের লাগাম টানতে ব্যাংক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ পদ্ধতি যুক্ত করা হয়েছে। ঋণ গ্রহণকারী ও জামিনদারের দুই আঙুলের ছাপ নেয়ার মতো কড়াকাড়ি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যে নির্দেশনা ইতোমধ্যেই ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এখন থেকে ঋণ নিতে উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ দিতে হবে। পাশাপাশি ঋণের জামিনদাতাদেরও আঙুলের ছাপ দিতে হবে। ব্যাংকগুলো জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য সংরক্ষিত ডেটাবেজ থেকে ছাপ যাচাই করে তা গ্রহণ করবে।

বুধবার এক প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ঋণ আদায়ের আইনগত প্রক্রিয়া সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নির্দেশনা দিয়েছে। কারণ, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ মোতাবেক সাম্প্রতিক সময়ে আদালতে বেশ কিছু রিট পিটিশন দায়ের করা হচ্ছে, যেখানে ঋণগ্রহীতারা এবং ঋণের জামিনদাতারা উভয়ে ঋণ গ্রহণ ও জামিন প্রদানসংক্রান্ত দলিলে স্বাক্ষর করেননি বলে উল্লেখ করেছেন।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঋণ বিতরণের আগে ঋণসংশ্লিষ্ট চার্জ ডকুমেন্টগুলো সম্পাদন করাসহ প্রাথমিক ও সহ-জামানতের ওপর চার্জ আরোপের নির্দেশনা রয়েছে। এতে গ্রাহকভিত্তিক, ঋণের ধরনভিত্তিক ও ঋণের জামানতভিত্তিক গৃহীত চার্জ ডকুমেন্টগুলো তালিকা আকারে উল্লেখ করা রয়েছে, যেখানে ঋণগ্রহীতা ও তৃতীয় ব্যক্তির স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ মোতাবেক সাম্প্রতিক সময়ে আদালতে বেশ কিছু রিট পিটিশন দায়ের করা হচ্ছে, যেখানে ঋণগ্রহীতা এবং ঋণের জামিনদাতা উভয়ে ঋণ গ্রহণ ও জামিন প্রদানসংক্রান্ত দলিলাদিতে স্বাক্ষর প্রদান করেননি মর্মে উল্লেখ করেছেন। ফলে সংশ্লিষ্ট চার্জ ডকুমেন্টগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতা ও জামিনদাতার স্বাক্ষরের ওপর নির্ভর করতে হয়। ফলে ঋণ আদায়ের আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা বিঘ্নিত হচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে আইনগত জটিলতা নিরসনে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, ঋণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা চার্জ ডকুমেন্টসের বিষয়বস্তু ঋণগ্রহীতা, জামিনদাতাসহ সংশ্লিষ্ট তৃতীয় ব্যক্তিকে পড়ে শোনানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

এসব নথিতে স্বাক্ষরের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পাশাপাশি তাদের উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য সংরক্ষিত ডেটাবেজ থেকে যাচাই করে গ্রহণ করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/০২ আগস্ট/ আরআর/আরকেএইচ)