হাইকোর্টকে জাতিসংঘ দেখালেন ড. ইউনূসের আইনজীবী

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০২৩, ১৪:৪৭ | আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ১৪:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

হাইকোর্টকে জাতিসংঘ দেখালেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী। 

মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন বাতিল প্রশ্নে সোমবার রুল শুনানিতে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘আপনার আদালতে এমন একজন ব্যক্তির মামলার শুনানি হচ্ছে যিনি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ড. ইউনূস জাতিসংঘের মহাসচিবের উপদেষ্টা হওয়ায় জাতিসংঘও এ মামলার বিচার পর্যবেক্ষণ করছে।’

‘সরকারও মনে করে তিনি সরকার ও বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্ত পাল্টে দিতে পারেন’- এমন কথাও বলেন ব্যারিস্টার মামুন।

সোমবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি সাহেদ নুর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই মামলার রুল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।  

এর আগে রবিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠন বাতিল প্রশ্নে রুলের শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করা হয়।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে রবিবার শুনানির দিন ধার্যের আবেদন করা হয়। পরে বিচারপতি কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন।

গত বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ অভিযোগ গঠনের বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেন। একইসঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চকে এই রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন আপিল বিভাগ।

গত ২৩ জুলাই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

গত ৬ জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।

অভিযুক্ত অন্য তিনজন হলেন— গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

গত ২১ জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই আবেদনে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়।

(ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/এফএ)