দুর্যোগ কবলিত এলাকা ছাড়া সারাদেশে এইচএসসি পরীক্ষা চলবে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২৩, ১৫:৫৬ | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৩, ১৭:১৯

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

আগামী ১৭ আগস্ট থেকে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষার সময়ে যদি কোনো জায়গায়  প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পরীক্ষা বন্ধ করতে হয়, সেখানে স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা বন্ধ থাকবে, কিন্তু সারাদেশের বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরীক্ষা চলবে। এই সিদ্ধান্ত সরকারের নেওয়া আছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

 

শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর শহরের লেডি প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতি বছরই হয়, এ বছর হয়তো প্রকোপটা বেশি। সেই ডেঙ্গু পরিস্থিতির জন্য সারাদেশের এইচএসসি পরীক্ষার মতো পাবলিক পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী। তারা এই পরীক্ষা ১৭ আগস্ট থেকে শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। এই তারিখ বহু আগে ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিয়েছে এবং তারা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য একদম প্রস্তুত।’

 

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, কিছু পরীক্ষার্থী সব সময় পরীক্ষার আগে চিন্তা করে আরেকটু সময় পেলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে। সেই জন্য তো এতো  পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া যায় না। এটি পাবলিক পরীক্ষা, এটি সঠিক সময়ে নেওয়া জরুরি। এমনিতে কোভিডের কারণে অনেক সময় পিছিয়ে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে এবং এ বছর আমরা চেষ্টা করছি পরীক্ষা এগিয়ে নিতে।

মন্ত্রী বলেন, আগামী বছর আমরা চেষ্টা করবো স্বাভাবিক সময়ে নিতে। এর মধ্যে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের চিন্তা থাকে। সে জন্য আইসিটি বিষয়ে কম নম্বরে পরীক্ষা হচ্ছে। পুরো পরীক্ষা কম নম্বরে অর্থাৎ পুনর্বিন্যাস নম্বরে পরীক্ষা হচ্ছে। কাজেই যে অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে আছে, তারা রাস্তাঘাটে এই আন্দোলন না করে তারা পড়ার টেবিলে ফিরে যাক এবং তারা প্রস্তুতি নিলে আমি বিশ্বাস করি তারা ভালো করবে।

 

দীপু মনি বলেন, আমাদের তো পরীক্ষায় শতভাগ পাস করে না। যারা পাস করে না তারা পরের বছর পরীক্ষা দেয়। যারা ভালো করে না, তারা মান উন্নয়নের জন্য পরের বছর পরীক্ষা দেয়। এই সুযোগগুলো সব আছে। কাজেই পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। আমাদের পরীক্ষার্থীরা যেন সবাই পড়ার মধ্যে মনোনিবেশ করে এবং তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।

 

এসএসসির পরে এইচএসসিতে এসে শিক্ষার্থী কমে যাওয়া অর্থাৎ ঝরে পড়া সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অনেক সময় এই সংখ্যাটি হঠাৎ করে মনগড়া বলা হয়। এটির সঠিক সংখ্যা জেনে বলতে হবে। যারা এসএসসি দেয়, তাদের মধ্যে বহু সংখ্যক কর্মজীবনে প্রবেশ করে। অনেকে বিদেশে চলে যায়। আবার কেউ আছে অন্যান্য শিক্ষা অর্থাৎ কারিগরি শিক্ষায় চলে যায়, তারা আর এইচএসসি দিতে আসে না। এসব বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

 

এ সময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হেদায়েত উল্যাহ, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক রনজিত রায় চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ মোর্শেদা ইয়াসমিনসহ সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী শহরের পুরাণ বাজার ডিগ্রি কলেজে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা চত্বরের উদ্বোধন করেন।

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/কেএম)