পরাজয়ের গ্লানি মুছতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা: ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২৩, ১৪:০৯ | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৩, ১৪:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি মোচন করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘জাতির পিতার দুটি স্বপ্ন ছিল। প্রথম স্বপ্ন এদেশের স্বাধীনতা ও দ্বিতীয় স্বপ্ন এদেশের মানুষের মুক্তি। স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের ডাক দেন। সবুজ বিপ্লবের কর্মসূচি শুরু করেন। দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। তখনই পরাজিত শক্তি স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিজয়ের আনন্দ ক্ষণস্থায়ী। পরাজয়ের গ্লানি চিরস্থায়ী। তাই মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি মোচন করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।’

এর আগে প্রতিমন্ত্রী শিশুদের নিয়ে শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে স্থাপিত জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন। আজকের শিশু-কিশোরদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে স্মার্ট দেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’

মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আক্তার। 

আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব মো. ওয়াহিদুজ্জামান, শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন প্রমুখ।  

সভাপতির বক্তব্যে সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, ‘জাতির পিতা নেতা হিসেবে ছিলেন রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য আদর্শ। পিতা হিসেবে ছিলেন জাতির আশ্রয় ও ভরসার স্থল। অভাবী ও দুখী মানুষের ভরসার প্রতীক। ঘাতকেরা নির্মমভাবে সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যাকে করেছে কিন্তু তিনি এদেশের সব মানুষের অন্তঃস্থলে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।’ 

‘দেশ স্বাধীনের সাড়ে তিন বছরের মধ্যে জাতির পিতা দেশের উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেন। যার ধারাবাহিকতা এখনো চলমান’ বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/পিআর/এফএ)