খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগ দাবিতে চার দিনের কর্মসূচি বিএনপির

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে চার দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, বুধবার দেশের সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দোয়া মাহফিল। খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় এ দোয়া মাহফিল করবে দলটি।

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বৃহস্পতিবার সারাদেশে লিফলেট বিতরণ করবে বিএনপি। আর আগামী শনিবার সারাদেশে পদযাত্রা কর্মসূচি করবে দলটি।

এছাড়াও যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সরকার পদত্যাগের একদফা দাবিতে আগামী শুক্রবার ঢাকা মহানগরসহ সকল মহানগরে বিএনপি গণমিছিল করবে।

এসময় রিজভী বলেন, ‘২০১৮ সালে নির্বাচনের প্রাক্কালে এই সরকার যেভাবে নির্বাচনী মাঠ শুন্য করার কৌশল এবারও তার পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে। বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে অদৃশ্য করা, গায়েবী মামলা দেয়া, পাইকারী হারে গ্রেপ্তার, বাসায় বাসায় হানা দেয়া, পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা, পেন্ডিং মামলায় জেলগেট থেকে বারবার গ্রেপ্তারতার করে কারাগারে আটকিয়ে রাখা ইত্যাদি সর্বনাশা খেলায় মেতেছে আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার।’

‘বর্তমান আওয়ামী সরকার অবৈধ ও দখলদার সরকার। আগামী নির্বাচনেও তারা দখলের মহাপরিকল্পনা চুড়ান্ত করছে। আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে তারা কোনো মানবিক পরিবেশ থেকে উৎসারিত নয়। তাদের কাছে গণইচ্ছার কোনো দাম নেই। এরা এমন একটি নিপীড়ক দল যারা বহু মত ও পথকে শত্রুজ্ঞান মনে করে। তাই ক্ষমতায় এসেই তারা জনগণকে ত্যাজ্য করে দেয়।’

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘জেলহাজতে বিএনপিসহ বিরোধী দলের বেশকিছু নেতাকর্মী নিপীড়ন—নির্যাতনে এবং বিনা চিকিৎসায় ধুকতে ধুকতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। অথচ এদের আমলে কারাগারে সবচেয়ে বেশি বিরোধী দলের নেতাকর্মী বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছে।’

‘আজ দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর স্বাধীনতার ঘোষকের সহধর্মিনী, যিনি বিপন্ন গণতন্ত্রকে এক অকুতোভয় নেতৃত্বে বারবার পুনঃরুদ্ধার করেছেন, দেশের আইনের শাসন, সুবিচার এবং মৌলিক মানবাধিকারের প্রতীক গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। এই আটক অন্যায়, অবৈধ ও কুৎসিত প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।’

গত ১২ জুলাই নয়াপল্টনে সমাবেশ থেকে ১৮ ও ১৯ জুলাই ঢাকাসহ দেশব্যাপী দুই দিনের পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণার মধ্য দিয়ে সরকারের পদত্যাগের একদফার আন্দোলনে নামে বিএনপি। এরপর গত ২২ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ করে দলটি। ওইদিন যুগপতের শরিক দল ও জোটগুলোও ঢাকায় পৃথকভাবে সমাবেশ করে।

(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/জেবি/ডিএম)