টেকনাফে ম্যাজিস্ট্রেটকে হেনস্তার চেষ্টা, মুচলেকায় ছাড়া পেল অভিযুক্ত
প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১৬:৪৫ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১৭:১২
কক্সবাজারের টেকনাফের ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ট্রেনিং সেন্টার পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে চাকমা সম্প্রদায়ের বিজয়মালা নামক এক মহিলা চাকমা তার লোকজন নিয়ে ক্যাম্প ইনচার্জ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হককে অবরুদ্ধ করে হেনস্তার চেষ্টা চালায় এবং দৃশ্যটি ভিডিও করতে থাকে তারা। এ সময় ক্যাম্প ইনচার্জ কোনোমতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে অফিসে চলে যান।
বুধবার ( ১৬ অগাস্ট) দুপুর ১২ টারদিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনা জানাজানি হলে বিষয়টি নিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিজয়মালা চাকমা ও তার লোকজন বিকাল ৫টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিজয়মালা চাকমা বলেন, আমি স্থানীয় দোকানদার। দোকান করতে গিয়ে সবসময়ে আমাদের সঙ্গে সিআইসি ও প্রশাসনের সমস্যা হয়। আজও হয়েছে। আমরা বড় কিছু করতে চাই না, আমরা নিরাপত্তা চাই, প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা চাই, মিলেমিশে থাকতে চাই। সিআইসি ও পুলিশের সহযোগিতা চাই। ৬ মাস ধরে দোকান করতেছি, এরই মধ্যে দুইবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। কে জানি অভিযোগ করেছে সিআইসিকে, উনি আমাকে কিছু বলেনি, আইনের মানুষের সঙ্গে বাড়াবাড়ি করতে চাই না, কাজ করেই খেতে চাই।
স্থানীয় হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রশিদ আহমদ বলেন, এই ঘটনায় যেহেতু উক্ত মহিলা তার দায় স্বীকার করে মুচলেকা দিয়েছে। সুতরাং তার বিরুদ্ধে আইনি কোন ব্যবস্থা না নিতে আমরা সুপারিশ করেছি। বিষয়টি সমঝোতা হয়েছে।
টেকনাফের ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ রফিকুল হক বলেন, স্থানীয় বিজয়মালা নামক চাকমা তার দোকানে টিভি চালায়, সেখানে বিভিন্ন লোকজন গিয়ে ধুমপান করে, লার্নিং সেন্টারের স্টুডেন্টরাও পাঠশালা ছেড়ে সেখানে টিভি দেখতে চলে যায়, অনেকে আমাকে বারবার অভিযোগ করায় আমি তাকে নিষেধ করি, সে টিভি সরাবেও বলেছে। পরে আমাকে পরিকল্পিতভাবে কিছু একটা করার চেষ্টা করছিল তারা। এ ঘটনায় তাকে মুসলেকায় ছাড় দেয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এআর)