বাঙালির সম্মান ও স্বীকৃতিই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির সারকথা: সুফিউর রহমান

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১৮:৪৪ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১৮:৪৭

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

সাধারণ বাঙালির হাজার বছরের অনর্জিত সম্মান আদায় ও একটি গর্বিত জাতি হিসেবে স্বীকৃতিই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের কেন্দ্রবিন্দু ও সাফল্য। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, জেনেভার উদ্যোগে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. সুফিউর রহমান।  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা বা রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন না, তিনি সাধারণ বাঙালির আকাঙ্ক্ষাকে অন্তরে ধারণ করেছিলেন। হাজার বছরের বাঙালি জাতিসত্তা গঠনের বিভিন্ন স্রোতের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু ভাষাভিত্তিক সম্মান ও স্বকীয়তা রক্ষণে উদার-ধর্মনিরপেক্ষ-প্রগতিশীল-সহিষ্ণুসমাজ গঠনে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন।

বাঙালির স্বাধীকারের আন্দোলনকে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ দিতে ও স্বাধীনতা আদায় করে তিনি অনন্য সাধারণ হয়ে ওঠেন; আর তাই তিনি সহস্র বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী। অনগ্রসরতা, সাম্প্রদায়িকতা ও অসহিষ্ণুতার রাজনীতির বিপরীতে অসাম্প্রদায়িকতা ও আধুনিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের রাজনীতি বজায় রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর অবদান রাখার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।

মিশনের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সকালে  রাষ্ট্রদূত মো. সুফিউর রহমান-এর বাসভবন (বাংলাদেশ হাউজ) প্রাঙ্গণে মিশনের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের  উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচির সূচনা করা হয়। বিকালে মূল পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এই পর্বে উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠন, সুইজারল্যান্ডস্থ বাংলাদেশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মিশনের বঙ্গবন্ধু কর্নারে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। অতঃপর ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং  বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে দূতাবাসের কর্মকর্তারা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পড়ে শোনান। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী ও অবদানের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

‘জাতির পিতার অসমাপ্ত সাধনা’- শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মিশনের মিনিস্টার কমার্শিয়াল দেবব্রত চক্রবর্তী। জাতির পিতার অবদানের ওপর মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের  সাধারণ সম্পাদক  শ্যামল খান, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম, কামাল হোসেন প্রমুখ। মুক্ত আলোচনায় বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এআর)