২২ মানসিক ভারসাম্যহীনকে পরিবারে ফিরিয়ে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন পুলিশ সদস্য মানিক

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০২৩, ২০:০১

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ভবঘুরে, মানসিক ভারসাম্যহীন বা শারীরিক অসুস্থ দেখলেই ছুটে যান পুলিশ সদস্য মোঃ আবুল হোসেন মানিক। নেন খোঁজ খবর। স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চলে তার সংগ্রাম। এ পর্যন্ত ২২ জন ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীনকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন এ পুলিশ সদস্য। করোনাকালীন ভবঘুরে, মানসিক ভারসাম্যহীনদের আপনজন ছিলেন মানিক। মানিক না গেলে জুটতো ওই সব মানুষের খাবার। এমন কাজে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

মানিকের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামে। তিনি ঐ গ্রামের মনির উদ্দিন হাজি বাড়ির মো. রুহুল আমিনের ছেলে।
বর্তমানে মানিক চাঁদপুর জেলা পুলিশে  কর্মরত রয়েছেন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে যোগদান করেন তিনি।

জানা যায়, চাঁদপুর জেলা পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত মানিক। এরআগে চাকরির সুবাদে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে ছিলেন তিনি। যেখানে ছিলেন মানবিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছেন। এখন পর্যন্ত ৪৩ জন ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীকে নিজ অর্থায়নে রিহ্যাব সেন্টারের মাধ্যমে চিকিৎসা করিয়েছেন। তার মধ্যে ২২জনকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন মানিক।

এদের মধ্যে ২৩বছর পর ভুট্টু দেওয়ান, ১৩ বছর পর হাবিবুর ও ৬ বছর পর মো. টিপুকে ফিরে পেয়েছে তাদের পরিবার।

মো. আবুল হোসেন মানিক জানান, ছোটবেলা থেকেই মানবিক কাজ করতে ভালো লাগে। মানবিক কাজের অনুপ্রেরণা তার পরিবার ও মামা এড. মুরাদ আল হাসান চৌধুরী। নিজের উপার্জনের টাকা দিয়েই করছেন মানবিক এসব কাজ। 

সম্প্রতি চাঁদপুর কালি বাড়ি রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, মানিককে ঘিরে আছেন কয়েকজন। সবার মধ্যে একটা উল্লাস বিরাজ করছে। কারণ স্টেশনে থাকা ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্য খাবার নিয়ে এসেছেন তিনি। প্রতিনিয়তই চলে তার এমন কর্মকাণ্ড৷ এ ধরনের কাজ করতে তার ভালো লাগে বলে জানান।

তিনি বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন এসব মানুষদের নিয়ে কাজ করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। আমি কয়েকবার আক্রমনের শিকারও হয়েছি। তারপরও আমি থেমে যাই নি। আমার চাকরির পাশাপাশি অবসর সময় গরিব, অসহায়,  মানসিক ভারসাম্যহীনদের পাশে থাকার চেষ্টা করি।

চাঁদপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মানিকের মহৎ কাজগুলো আমাদের পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এ ধরনের মানবিক কাজে জেলা পুলিশ সবসময় তাকে উদ্বুদ্ধ করবে।

(ঢাকাটাইমস/২১আগস্ট/এআর)